নদিয়া: মদ্যপ যুবকের হামলা। তারই প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তির অণ্ডকোষে আঘাতের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা হাসপাতালের বেডে শুয়ে শোনালেন ওই ব্যক্তি। রানাঘাটের (Ranaghat) পায়রাডাঙা বেলঘড়িয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বক্তব্য, অভিযুক্ত যুবক লিটন সিং প্রায়ই এলাকায় ঝামেলা করেন। মদ খেয়ে হোক বা মদ না খেয়ে, গালিগালাজ করতে থাকেন সকলকে। শুক্রবার এরকমই এক ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। অভিযোগ, এরপরই লিটন তাঁর উপর চড়াও হন। দুই হাত, বুকে মারধরের পর অণ্ডকোষে আঘাত করেন। বড় বিপদ না ঘটলেও যন্ত্রণায় কাতর ওই ব্যক্তি এখন রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি।
পায়রাডাঙার বেলঘড়িয়া এলাকার ওই বাসিন্দা জানান, তাঁর বাড়ি থেকে চার পাঁচটা বাড়ির পর থাকেন তাঁর ভাইপো। শুক্রবার রাত তখন ১০টা। বাড়ি থেকে তুমুল চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান। বেরিয়ে দেখেন ভাইপোর বাড়ির সামনেই ঝামেলা চলছে। তিনি এগিয়ে যান। ওই ব্যক্তির কথায়, “গিয়ে দেখি ভাইপোর ঘরের দরজায় লাথালাথি করছে লিটন। বলছে, ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে। নানারকম নোংরা ভাষায় খিস্তি। ওর মা তখন পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। আমি ওনাকে বলি, ছেলেকে ঘরে নিয়ে যান।”
অভিযোগ, মাকে বলতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন লিটন। ওই ব্যক্তির কথায়, “ও ছুটে এসে আমাকে ধরে। বলে, তুই এখানে কেন এসেছিস? এরপরই গালাগালি করতে করতে আমাকে ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। যেই উঠে ধরতে গেছি ও পাল্টা আমার হাত চেপে ধরে। কামড়ে দেয়। বাঁ হাতেও কামড়ায়। ধাক্কা দিয়ে ফেলে গলায় পারা দিয়ে দেয়। এরপরই আমার অণ্ডকোষ টেনে ধরে। আমার চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। এরপরই বাড়ির লোকজন আমাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।” জানা গিয়েছে, ওই লিটনের বাবার মুদির দোকান। তিনি নিজে কিছু করেন না। এমন কোনও নেশা নেই যা তিনি করেন না, দাবি এলাকার লোকজনের।