BJP: ২৪-এ মোদীকে উপহার দিতে চান ‘মহুয়ার কৃষ্ণনগর’, নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 19, 2023 | 6:05 PM

Nadia: সূত্রের খবর, বিজেপির এই দলাদলিকে হাতিয়ার করেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় গেরুয়া শিবির।

BJP: ২৪-এ মোদীকে উপহার দিতে চান মহুয়ার কৃষ্ণনগর, নাড্ডার সামনে প্রতিশ্রুতি সুকান্তদের
নদিয়ায় বিজেপির সভা ছিল বৃহস্পতিবার।

Follow Us

নদিয়া: গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের নিরিখে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় বিজেপি যতটা মজবুত, উত্তরে ততটা নয়। এই উত্তরের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকেই দিল্লির বিজেপি (BJP) নেতাদের প্রচার শুরু হল। এদিন বেথুয়াডহরিতে সভা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। ছিলেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। প্রচারে নেমে সকলের মুখেই শোনা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের কথা। চব্বিশের লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র যে তাঁদের পাখির চোখ, বোঝালেন নাড্ডা থেকে অধিকারী। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁকে হারাতেই এককাট্টা নাড্ডা, শুভেন্দু, সুকান্ত। জেপি নাড্ডাকে এদিন বলতে শোনা গিয়েছে, “আপনারাই বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?। সমস্ত দুর্নীতি থেকে মুক্তির পথ এই পদ্ম।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার বলেছেন, কৃষ্ণনগরের সাংসদ এলাকার সমস্যার কথা সংসদে বলেন না। তাই চব্বিশে সুদে আসলে তার হিসাব নেবেন এলাকার মানুষ। এক ধাপ এগিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা গিয়েছে, “কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদীকে উপহার দেব।” কৃষ্ণনগরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। দলের অন্দরেই কান পাতলে শোনা যায়, বিধায়ক-সাংসদে রেষারেষি, বিধায়কে-বিধায়কে রেষারেষি, জেলা কমিটির সঙ্গে সাংসদ-বিধায়কদের মনোমালিন্যর অভিযোগ। গত নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় গিয়েছিলেন।

সেখান থেকে তিনিও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন। মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “বিধায়ক যাঁরা আছেন, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। আর কেউ করলে তাঁকে আমি পার্টিতে স্থান দেব না। যাঁর ইগো থাকবে, বাড়িতে বসে যান। কাজ করার দরকার নেই। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে আপনার জানার দরকার নেই। আমরা মাঠে খুঁজে নেব তাঁকে।” সে সময় তিনি একটা কোঅর্ডিনেশন কমিটিও গড়ে দেন। যেখানে রাখা হয় জেলার একমাত্র তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, জেলার সব দলীয় বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে। একইসঙ্গে বলেছিলেন, “আপনারা একসঙ্গে বসে কাজ করবেন। যখন যে ব্লকে যাবেন, সবাইকে ডেকে নেবেন। এটা দেখার দরকার নেই, এটা আমার গ্রুপ, ওটা আমার গ্রুপ। এটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার। এটাকে ভাঙা যাবে না।”

সূত্রের খবর, বিজেপির এই দলাদলিকে হাতিয়ার করেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাজিমাত করতে চায় গেরুয়া শিবির। এদিন বেথুয়াডহরিতে বক্তব্য রাখতে উঠে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই সমাবেশ দেখে বোঝাই যাচ্ছে, কৃষ্ণনগরের সাংসদ প্রাক্তন হয়ে যাবেন। আর মাত্র কয়েকটা মাসের অপেক্ষা। এই সাংসদ তো সংসদে আপনাদের জন্য কোনও কথা বলেন না। তিনি আমেরিকার কথা বলেন, তিনি জার্মান, রাশিয়া, ইউক্রেনের কথা বলেন। তিনি কৃষ্ণনগরের কথা বলেন না।” সুকান্ত মজুমদার তুলে আনেন কালী-বিতর্ক প্রসঙ্গ। বলেন, “বদলা নিতে হবে। এই বার ২৫ পার কৃষ্ণনগর দিয়ে শুরু হবে। আমরা কথা দিয়েছি, কৃষ্ণনগর লোকসভা এবার মোদীজীকে উপহার দেব। ২৪-এধামাকা দেব। দু’টো মন্দির একসঙ্গে উপহার দেব। রামমন্দির, ইসকনের মন্দির।”

Next Article