BJP MLA: ভাসানে গোলমালের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের বিজেপি বিধায়কের
Nadia News: শুক্রবার ধানতলায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে আটকে পড়ে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর গাড়ি।
নদিয়া: ধানতলায় বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বিধায়ক ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল। থানায় অভিযোগও দায়ের করেন বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। শুক্রবার ধানতলায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে আটকে পড়ে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর গাড়ি। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের কিছু ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় বিধায়কের গাড়ির উপর চড়াও হয়। বিধায়ক গাড়ি থেকে নেমে বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি বলে দাবি তাঁর।
বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর অভিযোগ, উল্টে তাঁদের উপর আঘাত করা হয়। বিধায়কের নিরাপত্তা কর্মীকে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিধায়কের নিরাপত্তা রক্ষীরাই গায়ে হাত তোলেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে। নদিয়ার মাজদিয়ায় নিজের বাড়ি থেকে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। সেই সময় রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার ধানতলা থানার দত্তফুলিয়া রোডে ঘটে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার বিবরণ জানিয়ে ধানতলা থানায় অভিযোগ জানান বিধায়ক।
শুক্রবারই বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী বলেন, “আমি আমার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার কর্মসূচির জন্য দত্তফুলিয়া দিয়ে ঢুকছিলাম। সেই সময় প্রতিমা বিসর্জনে যাচ্ছিল একটি দল। সঙ্গে তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী ছিল। আমার গাড়ি আটকায় প্রথমে। এরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা নামে। নামতেই ধস্তাধস্তি শুরু করে। মারধর করে। তা দেখে আমি গাড়ি থেকে নেমে ওদের বোঝানোর চেষ্টা করি। আমাদের উপরও হামলা হয়। ঘাড়ে, হাতে চোট লাগে। গাড়িটাও ভাঙচুর করেছে। বেশির ভাগ জায়গাই বসে গিয়েছে। স্থানীয় লোকের সহযোগিতায় কোনওক্রমে বেরোতে পারি।”
যদিও দত্তফুলিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য মনোজিৎ বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, তাঁকে মারধর করা হয়। রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর দেহরক্ষীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মনোজিতের বক্তব্য ছিল, “আমরা ভাসানে যাচ্ছিলাম। যত গাড়ি আসছিল আমরা সব পার করে দিচ্ছিলাম। আমরা জানিও না গাড়িতে কে আছেন না আছেন। এরপর ভিভিআইপি লেখা একটি গাড়ি থেকে নিরাপত্তারক্ষী নেমে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পরে শুনলাম বিধায়কও নাকি গাড়িতে আছেন। তিনি মারধর করেন বলে শুনেছি। এরপরই অশান্তি বাড়তে থাকে। উনি যে অভিযোগ করছেন সেসব ভিত্তিহীন।”