পাশেই শুয়ে ছেলে, তার মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে এমন কাণ্ড যুবকের… ছি ছি পড়ে গিয়েছে পাড়ায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 07, 2022 | 11:07 AM

Nadia: স্থানীয়রা জানান, অলকা দাসের বাড়ি অসমে। বছর ছ'য়েক আগে পায়রাডাঙা বাজারপাড়ার সঞ্জিত দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

পাশেই শুয়ে ছেলে, তার মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে এমন কাণ্ড যুবকের... ছি ছি পড়ে গিয়েছে পাড়ায়
নিহতের বাড়ির সামনে এলাকার লোকজন। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

নদিয়া: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহ থেকেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর পরকিয়া নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হত। শুক্রবার রাতে সেই ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, দু’ বছরের ছেলের সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয় মাকে। এমন ঘটনায় শিউরে উঠছেন পাড়ার লোকজন। ছি ছিক্কার করছেন তাঁরা। নদিয়ার রানাঘাট থানার পায়রাডাঙার বাজারপাড়ার এই ঘটনা। নিহত গৃহবধূর নাম অলকা দাস (২৭)। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট থানার পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, অলকা দাসের বাড়ি অসমে। বছর ছ’য়েক আগে পায়রাডাঙা বাজারপাড়ার সঞ্জিত দাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের একটি দু’ বছরের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সঞ্জিত। এ নিয়ে প্রায়ই সংসারে অশান্তি হত। সুরাহা খুঁজতে স্থানীয় পায়রাডাঙা গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যর কাছেও যায় পরিবার। স্বামীর অভিযোগ, সারাদিনই স্ত্রী তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। দিনভর ফোনে গল্প করতেন। যা নিয়ে ঝামেলা লেগে যেত সঞ্জিতের সঙ্গে।

শুক্রবার সেই দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। এরপর দু’ বছরের ছেলের সামনেই নৃশংসভাবে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে সঞ্জিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ। কাটারির এলোপাথাড়ি কোপে অলকা চিৎকার করতে শুরু করেন। আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মৃতদেহটি। রাতেই মৃতদেহ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে।

ধৃতের দাদা বলেন, “রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ অদ্ভুত শব্দে ঘুম ভাঙে। দরজা খুলে দেখি পাশের ঘর থেকে আওয়াজ আসছে। দরজা ধাক্কা দিতেই দেখি ভিতর থেকে বন্ধ। জানলাও বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কির পর দরজা না খোলায় মা একটা জানলার কাচ ভেঙে দেয়। তারপরই দেখি এই অবস্থা। ঘর রক্তে ভাসছে। ভাইয়ের হাতে কাটারি, বউমা লুটিয়ে পড়ে আছে। ততক্ষণে পাড়ার লোকজন চলে এসেছে। ভাই-বউমার মধ্যে মাঝে মধ্যেই গোলমাল হত। কিন্তু তা যে এমন হবে ভাবতেও পারছি না।”

Next Article