নদিয়া: নিত্যদিনের মতো কারখানায় এসেছিলেন। কাজও করছিলেন। পরে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। সকালে অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর যখন যুবক ঘুম থেকে ওঠেনি। তখন সন্দেহ হয় সহকর্মীদের। অনেক ডাকাডাকির পর হৈ-চৈ শুরু হয়ে যায়। তড়িঘড়ি যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। তারপরই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে।
নদিয়ার শান্তিপুরেরর ঘটনা। ভিন রাজ্য থেকে আসা আটা কলের শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। মৃতের নাম অনিল সাহানি (২৭)। জানা গিয়েছে, অনিল এক মাস আগে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে আটা কারখানায় কাজ করতে এই রাজ্যে এসেছিলেন। প্রতিদিনের মতো তিনি রাত্রিবেলা কারখানার ঘরেই শুয়ে ছিলেন। সকালের দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না মেলায় অবশেষে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় কারখানার অন্যান্য কর্মীরা। এরপরই চিকিৎসার পর ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিলেন তিনি। মদ্যপান করার পর দীর্ঘক্ষণ বাথরুমের ভেতরেই শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গীরা পরবর্তীকালে তাঁকে তুলে এনে ঘরে শুইয়ে দেয়। পাশাপাশি আরও জানান, ভোর তিনটের সময় জল খেয়েছিলেন। কিন্তু ভোরবেলা ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় তাঁদের। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অনুমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মৃত যুবক। একই সঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেন, কারখানা সংলগ্ন রাস্তার পাশে একাধিক দোকানে বেআইনিভাবে প্রতিনিয়ত মদ বিক্রি হয়। শুধু তাই নয় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে রমরমিয়ে চলে মধুচক্রের আসর। সেই কারণেই কারখানায় আসা শ্রমিক এবং মহিলা আসক্ত হয়ে পড়ছেন। যদিও মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তবে কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে তা স্পষ্ট হবে।
ঘটনার বিষয়ে সহকর্মী অপর যুবক বলেন, “রাত্রিবেলা তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠেছিল। আমায় বলল জল দিতে। আমি জলও দিলাম। তারপর জল খেয়ে শুয়ে পড়ল। এরপর সকালে উঠে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করি। সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাক্তারের কাছে সবাই মিলে নিয়ে যাই। তারপরই এমন অবস্থা। ”