শিলিগুড়ি: হাউস স্টাফ নিয়োগে লবির স্বেচ্ছাচার ও স্বজনপোষণ? আরজি কর আবহে হাউসস্টাফ নিয়োগের নির্দেশিকা ফিরিয়ে নিল স্বাস্থ্য ভবন। তা নিয়েই জোর চর্চা। আগে হাউস স্টাফ নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারেরা মেরিটের ভিত্তিতে চিকিৎসকদের নিয়োগ করতেন। জেলা হাসপাতালে এই দায়িত্বে ছিলেন সুপারেরা। কিন্তু গত এপ্রিলে উত্তরবঙ্গ লবির চাপেই পুরানো নিয়ম বদলে দিয়ে মেরিট ছাড়াও ১৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার প্রচলনের পাশাপাশি সুপারের বদলে মেডিকেল অধ্যক্ষকদের মাধ্যমে একটি কমিটি গড়ে নিয়োগের নির্দেশ পাঠায় স্বাস্থ্য ভবন। অভিযোগ ওঠে, ভাইভার নামে আসলে নিজেদের পেটোয়া লোকজনদের ঢোকাতে সচেষ্ট ক্ষমতাসীন লবি। এই পদ্ধতি মেনেই জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেলে নিয়োগ পান হাউস স্টাফেরা। আরজি কর আবহে এবার ক্ষোভের আগুন মাথাচাড়া দিতেই ওই নির্দেশিকা বাতিল করা হল বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
এর জেরে এবার ফের মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগের সম্ভাবনা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি এই নিয়োগের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষদের বদলে ফের মেডিকেল সুপারদের এবং হাসপাতালের ক্ষেত্রে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকদের দায়িত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে যাদের বাছাই করা হবে তাদের নাম পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেলের সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, “আগে মেরিটের ভিত্তিতেই নিয়োগ হত। গত এপ্রিলে এই নিয়োগে ভাইভা যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এই নির্দেশ বাতিল বলে গতকাল রাতে নির্দেশ এসেছে। তবে ভাইভার মাধ্যমে যারা নিয়োজিত হলেন তাদের চাকরি বাতিল কিনা সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু ওই নির্দেশে লেখা নেই।”
অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের তরফে উৎপল বন্দোপাধ্যায় জানান, “চাপের মুখে ভয় পেয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। তাই ওই নির্দেশ বাতিল করেছে। আমরা আগেই বলেছিলাম ভাইভায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের লোকেদের প্রাধান্য দেওয়ার সুযোগ থাকবে। তখন এসব কেউ শোনেনি। আরজি কর আবহে ক্ষোভ সামাল দিতেই তাই মেধাকেই নিয়োগের অন্যতম সূচক হিসেবে ফের মান্যতা দেওয়া হবে।”