উত্তর ২৪ পরগনা: ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে যুযুধান দুই পক্ষের সংঘর্ষ। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলল হামলা। হল বেপরোয়া ভাঙচুর। রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত শিক্ষাঙ্গণ। এবার ঘটনাস্থল গোবরডাঙা হিন্দু কলেজ (Gobordanga Hindu College)। টিএমসিপি এবিভিপি-র দিকে আঙুল তুলেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি।
সূত্রের খবর, ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই টিএমসিপি ও এবিভিপি- ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে বচসা চলছিল। কয়েকদিন আগে টিএমসিপি-র সদস্যরা এবিভিপি-র দুই কর্মীকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে এদিন কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল এবিভিপি। টিএমসিপি-র তরফে বাধা দেওয়া হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
যদিও তৃণমূলনেতার দাবি, শুক্রবার কলেজে পরীক্ষা চলছিল। অভিযোগ, সেইসময় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। কলেজে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। বহিরাগতদের ঢুকিয়ে বেপরোয়াভাবে ভাঙা হয় বাইক, চেয়ার, টেবিল। ইউনিয়ন রুমে বসে থাকা ছাত্রদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতার অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই হামলা চলে। কাজল সেন নামে এক বিজেপিকর্মী রিভলবার নিয়ে কলেজে ঢোকেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের তরফে এলাকায় মিছিল করা হয়। পরিবেশ এখন থমথমে। ঘটনাস্থলে রয়েছে হাবড়া থানা ও গোবরডাঙ্গা থানার পুলিস। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে ।