বসিরহাট: হাড়োয়ায় (Haroa) আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী। বসিরহাটের হাড়োয়া থানা এলাকার শালিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে টহলদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। সেই সময় শালিপুর শ্মশান এলাকায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের থেকে একটি একনলা বন্দুক এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম শান্টু মোল্লা ও হাসান মোল্লা। শান্টুর বাড়ি হাড়োয়ার মাজমপুরে এবং হাসানের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর এলাকায়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, জেলায় বিভিন্ন থানা এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই এবং রাহাজানির মতো একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত, শনিবার হাড়োয়া থানার পুলিশ আধিকারিক বাপ্পা মিত্রের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হানা দেয় শালিপুর এলাকায়। আর সেই টহলদারির সময়েই ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার ধৃত দুই দুষ্কৃতীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
ধৃত দুই ব্যক্তিকে জেরা করে এই দুষ্কৃতী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত রয়েছে, কোন কোন এলাকায় ডাকাতি বা ছিনতাই করেছে তারা, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন পুলিশকর্মীরা। পাশাপাশি কী উদ্দেশ্যে ওই দুই দুষ্কৃতী শালিপুর শ্মশান এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তক্কে তক্কে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। এই দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। এদিন শ্মশান এলাকায় পেট্রোলিং চলার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। ওই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তারা কেন ঘুরছিল, এই এলাকায় কোথায় ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ছক কষেছিল কি না, সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। ধৃতদের জেরা করে এই দুষ্কৃতী চক্রের আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।