ব্যারাকপুর: রাজ্যে নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে ক্রমেই অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক শিবিরের। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শাসক দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার প্রয়াস দেখা গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের (MP Arjun Singh) গলায়। বললেন, “দিদি যে প্রকল্প দিয়েছেন, সেগুলি যদি আমরা একদম নীচুস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে, ভোট চাইতে যেতে হবে না। মানুষ এমনিই ভোট দিয়ে দেবে। আমাদের চালচলন, কথাবার্তার উপর মানুষ নজর রাখছে।”
সেই সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের আরও সংযোজন, “দেখুন, সারা তৃণমূলের লোক কিন্তু কিছু করেনি। কিন্তু এক- দু’জন করেছে, টাকার পাহাড় দেখিয়ে সারা বাংলায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দুইজন চুরি করছে, আর ৯৮ শতাংশ লোকের উপর প্রশ্নচিহ্ন লেগে যাচ্ছে, এরা সবাই চোর। এই দুইজনকে (দুই শতাংশকে) চিহ্নিত করতে হবে।” উল্লেখ্য, শুক্রবার ব্যারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এক বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। ওই বিজয়া সম্মিলনী থেকেই এই কথা বলেন সাংসদ অর্জুন সিং। মঞ্চে সেই সময় অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষও।
এর পাশাপাশি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দলের কাউন্সিলরদেরও সতর্ক করে দেন সাংসদ। বললেন, “পুরসভার কাউন্সিলর হওয়া মানে সব কিছু পেয়ে গিয়েছি, এই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেছিলেন, “কয়েক জন নেতার জন্য দলের বদনাম হচ্ছে।” সঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য ছিল, “তৃণমূল কংগ্রেসের ৯৫ শতাংশ কর্মী সৎ ও নিষ্ঠবান। কিছু নেতার জন্য দল আজকে বদনামের ভাগীদার হচ্ছে।” এবার সেই একই কথা শোনা গেল ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের গলায়।