সন্দেশখালি: একদিকে ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভা, পাল্টা ন্যাজাটে সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির প্রতিবাদ সভা। দুইয়ে মিলে কলকাতার পাশাপাশি তপ্ত সন্দেশখালির রাজনৈতিক মহলও। ধামাখালি খেরে স্থলপথ হয়ে ধর্মতলার উদ্দেশ্য়ে যাচ্ছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। লক্ষ্য় ব্রিগেড। অন্যদিকে জলপথে ন্যাজাটে আসতে দেখা গেল প্রচুর বিজেপি সমর্থককে। ব্রিগেডে থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ন্যাজাটে বিজেপির সভায় মূল বক্তা হিসাবে থাকছেন শুভেন্দু। কয়েকদিন আগে বরাসতের সভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভা শেষে মোদীর সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ মহিলা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ছিলেন সন্দেশখালির বিজেপি নেতা বিকাশ সিংও। এবার সন্দেশখালির বহু মহিলার দেখা মিলতে চলেছে ব্রিগেডে।
এদিন সকাল থেকেই ধামাখালির নানা প্রান্ত থেকে বাসে করে সন্দেশখালির তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ব্রিগেডের উদ্দেশে আসতে দেখা গেল। এলাকার এক তৃণমূল নেতা বললেন, বাস পেতে আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। ভাড়া দিয়েই যাচ্ছি। এলাকায় মহিলা ভোটব্যাঙ্ক আমাদের অটুট রয়েছে। আগে যে ভোট ব্যাঙ্ক ছিল তা বর্তমানে ও আগামীদিনে থাকবে। আগামীতে তো মহিলাদের ভোট আরও বাড়বে। সন্দেশখালির মাটিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন হয়েছে বলে যা রটানো হচ্ছে পুরোটাই মিথ্যা ঘটনা। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ভেড়ি নিয়ে হয়েছিল সেগুলি প্রশাসন দেখছে।
এদিন সকালে সন্দেশখালির ২ নম্বর ব্লক থেকে ৪-৫টি বাস ছাড়তে দেখা গেল। ২ নম্বর ব্লকে রয়েছে ৮টি পঞ্চায়েত। সেখান থেকেই এদিন বহু সংখ্যক কর্মী সমর্থক রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশে। বাসে বসেই এক মহিলা বললেন, দিদির কাজে ভাল কাজের কথা শুনতে চাই। এলাকার আর এক তৃণমূল নেতা বললেন, আমরা সন্দেশখালি থেকে ৫টি বাস নিয়ে যাচ্ছি। তাতেই সন্দেশখালির মহিলা রয়েছেন। তাঁদের নিয়েই ব্রিগেডে যাচ্ছি। দিদি কী বার্তা দেন এখন দেখার। শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যই আলাদ একটা বাস ছাড়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারী দিবসের প্রাক্কালে কলকাতার রাজপথে বড় মিছিল করতে দেখা গিয়েছিল মমতাদের। সন্দেশখালির বহু মহিলাও সেখানে পা মেলান। তবে তাঁরা আদৌও সন্দেশখালির মূল এলাকার বাসিন্দা কিনা সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল রাজবাড়ি এলাকাতেও।