Thakurnagar: বড়মার ঘর নিয়ে ‘টানাটানি’, ভরসন্ধ্যায় অশান্তি চরমে
Thakurnagar: ঠাকুরবাড়ি সূত্রে খবর, গোলমাল মূলত যে ঘরে বড়মা অর্থাৎ বীণাপাণিদেবী থাকতেন সেই ঘর নিয়ে। বীণাপাণিদেবীর বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ। কপিলকৃষ্ণর স্ত্রী মমতাবালা। অন্যদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণের ছেলে শান্তনু ঠাকুর। মূলত, বড়মা যে ঘরে থাকতেন কেন তাঁরা ঢুকতে পারবেন না, এ নিয়েই গোলমাল বলে খবর।
বনগাঁ: ঠাকুরনগরে বড়মার ঘরে কারা থাকবে তা নিয়ে গন্ডগোলের অভিযোগ। অভিযোগ, জোর করে বড়মার ঘরে ঢুকে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। মমতাবালার বিরুদ্ধে ঘর দখল রাখার পাল্টা অভিযোগ শান্তনুর। মমতাবালা গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বারুণী মেলাকে কেন্দ্রে বহু মানুষ এই সময় ঠাকুরনগরে রয়েছেন। তারমধ্যে রবিবার রাতে চরম উত্তেজনা ছড়ায়।
শান্তনু ঠাকুরদের তরফে অভিযোগ, ১২ বছর ধরে তাঁরা ওই ঘরে ঢুকতে পারেননি। মমতাবালা ঠাকুর সেই ঘর আঁকড়ে ধরে আছেন। উল্টোদিকে মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, তাঁদের আসতে বললেও তাঁরা আসতেন না। রবিবার ফেসবুকে মমতাবালা একটি পোস্ট করেন। লেখেন, ‘বড়মার ঘর ভেঙে শান্তনু ঠাকুরের প্রবেশ এবং বাজে মন্তব্য সঙ্গে মেরে ফেলার হুমকি।’ স্বভাবতই রাজ্যসভার একজন সাংসদের এমন পোস্ট হইচই ফেলে দেয়। এরপর মমতাবালা নিজেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ঠাকুরদাদার ঘরে যেতেই পারে সে। আমার আপত্তি নেই। কিন্তু এইভাবে কেন? খোলা গেট গিয়ে যায়নি কেন? হাতুড়ি মেরে শান্তনু ঠাকুর নিজেই গেট ভাঙছিলেন।”
ঠাকুরবাড়ি সূত্রে খবর, গোলমাল মূলত যে ঘরে বড়মা অর্থাৎ বীণাপাণিদেবী থাকতেন সেই ঘর নিয়ে। বীণাপাণিদেবীর বড় ছেলে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ। কপিলকৃষ্ণর স্ত্রী মমতাবালা। অন্যদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণের ছেলে শান্তনু ঠাকুর। মূলত, বড়মা যে ঘরে থাকতেন কেন তাঁরা ঢুকতে পারবেন না, এ নিয়েই গোলমাল বলে খবর।
শান্তনু ঠাকুর বলেন, “আমার এই ঘরে থাকার যে অধিকার পৃথিবীর কোনও আইন নেই তা অস্বীকার করতে পারে। আমি আমার ঠাকুরদা, ঠাকুমার ঘরে ঢুকে বসে আছি। আমি থাকব এখন থেকে এই ঘরে।” আর তালা ভাঙার প্রশ্নে শান্তনু বলেন, “১০ বার বলা হয়েছে তালা খোলার জন্য। এখন কেউ যদি হুলিগ্যান নিয়ে পুষে রাখে আমাকে তো দেখতে হবে আমার ঠাকুরদাদার ঘর চেক করে। কোন হুলিগ্যানরা এ ঘরে থাকছে। এখানে মমতাবালা ঠাকুরের যদি অধিকার থাকে, আমার মা ছবিরানি ঠাকুরেরও অধিকার আছে, আমার স্ত্রী সোমা ঠাকুরেরও অধিকার আছে, আমার বৌদি সীতা ঠাকুরেরও অধিকার আছে। আমার, সুব্রত ঠাকুরের অধিকার আছে। আমার বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের অধিকার আছে।”