AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Primary: ৪ সদস্যের ৪০ দিনের শ্রম, নগদ ৫ লক্ষ টাকা খরচ পর্ষদের, মমতার একটা কথাতেই সব শেষ

Primary: গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, প্রাথমিক শিক্ষায় এবার সেমিস্টার সিস্টেম চালু হবে। বছরে ২ বার হবে পরীক্ষা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই নতুন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হয়।

Primary: ৪ সদস্যের ৪০ দিনের শ্রম, নগদ ৫ লক্ষ টাকা খরচ পর্ষদের, মমতার একটা কথাতেই সব শেষ
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল (ফাইল ছবি)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2025 | 2:27 PM
Share

কলকাতা: প্রাথমিকে সেমিস্টার নিয়ে তোলপাড় শিক্ষা দফতর। তোড়জোড় করে সাংবাদিক বৈঠক করে নিয়ম বদলের কথা জানিয়ে দেওয়ার পরও বাতিল করতে হচ্ছে সেই ঘোষণা। শুধু তাই নয়, ভরা সভাঘরে সবার মাঝে ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাই মমতার একটা কথাতেই বিফলে গিয়েছে সব আয়োজন। ঠিক কতটা আয়োজন করা হয়েছিল ওই সেমিস্টার সিস্টেম আনার জন্য?

গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, প্রাথমিক শিক্ষায় এবার সেমিস্টার সিস্টেম চালু হবে। বছরে ২ বার হবে পরীক্ষা। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এই নতুন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হয়। কিন্তু এই পুরো বিষয়টা তো রাতারাতি হয়নি। কমিটি তৈরি করে ৪০ দিন ধরে তৈরি করা হয় ব্লু প্রিন্ট।

পর্ষদ সূত্রের খবর, প্রাথমিকের সেমিস্টার পদ্ধতির ব্লুপ্রিন্ট বানাতে খরচ হয় ৫ লক্ষেরও বেশি টাকা। ৪০ দিন ধরে ৪ জন পরামর্শদাতা পর্ষদে বসে এই কাজ করেছিলেন। ৫ লক্ষেরও বেশি টাকা স্রেফ নগদে খরচ হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর। ওই চার পরামর্শদাতার যাতায়াত, সাম্মানিকের জন্য ওই টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু আখেরে লাভ হল না কোনও।

সূত্রের খবর, সেই পরামর্শদাতাদের কাজে রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্ষদের প্রাক্তন কর্তাদের এই কাজে সংযুক্ত করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পর্ষদের এই কর্মকাণ্ডে বেশ কয়েকজন আধিকারিক বিরক্ত। টেন্ডার ছাড়া কী করে এই কাজ হলো? প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তবে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ পর্ষদ। বারবার ফোন করলেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না গৌতম পালকে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে না জানিয়ে নতুন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলা হল। ছোট ছোট শিশুদের ওপর সেমিস্টারের ভার বেশি হবে বলেও মনে করেন তিনি। এরপরই ব্রাত্য বসুকে মমতা সাফ জানিয়ে দেন, প্রাথমিকে যেভাবে পঠন-পাঠন চলছে, তেমনটাই চলবে, কোনও পরিবর্তন করা যাবে না।