বসিরহাট: এক-দু’দিন নয়, বিবাহিত মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। তারপর লাগাতার সহবাসের অভিযোগ। শেষমেশ গৃহবধূকে তাঁর স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করাতে বাধ্য করেন যুবক। পরে যখন মহিলার ডিভোর্স হয়ে যায় তখন ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘটনা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। পরে ওই মহিলাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে যুবক। জানা গিয়েছে, বছর ঊনত্রিশের এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এলাকারই এক মহিলার। ওই ব্যক্তি পেশায় ডিম বিক্রি করেন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ সাত মাস ধরে তাঁদের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ডিম ব্যবসায়ী যুবক মহিলাকে একাধিকবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী ওই গৃহবধূ বাধ্য হয় স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। কিন্তু গল্পের মোড় ঘোরে যখন মহিলার প্রেমিক ডিভোর্সের পরও তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে তখন। এরপরই গৃহবধূ ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন যে, এই ঘটনা বাইরের কাউকে বললে বা কেউ জানলে যুবক তাঁকে প্রাণে মেরে দেবে বলেও হুমকি দেয়। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর বসিরহাট মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেবেন। নির্যাতিতা ওই যুবকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটাও তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারীরা।
নির্যাতিতা মহিলা বলেন, ‘আমি বিবাহিত। ওই দীর্ঘদিন ধরে আমার মাথা নষ্ট করে। ছেলেটি আমায় ওর সঙ্গে তোলা ছবি ছাড়তে বলে। আর সেই ছবি ছাড়ার পরই জানাজানি হয়ে যায়। তখন আমার স্বামী আমাকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলেন। এক কথায় বাধ্য হয়ে আমাকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে। প্রায় ছ’মাস ধরে আমার সঙ্গে ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আমি অনেকবার বলেছি বিয়ে করে নেওয়ার কথা। কিন্তু ও আমাকে বারবার অজুহাত দিচ্ছিল ওর নাকি বাড়ি-ঘর তৈরি হয়নি। সেই কারণে আমাকে বিয়ে করতে পারবে না। এদিকে আমি শুনতে পাই যে গোপনে ওর পরিবারের তরফে ওর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন আমি বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিই। আমায় ও লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। শেষে আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।’