উত্তর ২৪ পরগনা: রাস্তার ধারের বিরিয়ানির দোকন। সবসময়ই ভিড় থাকে দোকানে। প্রচুর সেল। বসে খাওয়ার জায়গা তো রয়েছেই, লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিরিয়ানি নিতেন অনেকে। সোমবার দুপুরেও বিরিয়ানির দোকানে ব্যস্ততা তুঙ্গে। দোকানের বাইরে লাইন। কর্মীদের শ্বাস ফেলার সময় নেই। হাঁড়ি থেকে বিরিয়ানি তুলছিলেন এক কর্মী। পাশেই বাক্স প্রস্তুত করছিলেন অপরজন। আচমকাই পরপর দুটি গুলি। সবাই তখন হতভম্ভ। গুলি তখন বুক ফুঁড়ে গিয়েছে দোকানের দুই কর্মীর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন তাঁরা। সোমবার দুপুরে ব্যারাকপুরের প্রসিদ্ধ বিরিয়ানির দোকানে গুলি চলল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দোকানের দু’ন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদেরকে উদ্ধারকে করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোহনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তিন জন দুষ্কৃতী বাইকে এসেছিল। মধ্যমগ্রামের দিক থেকে দুটি বাইকে এসেছিল তারা। দোকানের সামনে বাইরে বাইক দাঁড় করিয়ে হঠ্ করে গুলি চালিয়ে চলে যায়। দোকানের তখন ব্যস্ততা ছিল। সবার মাঝেই গুলি চালিয়ে চলে যায় তারা। কিন্তু কী কারণে গুলি, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
তোলা নিয়ে সমস্যার জেরেই কি গুলি? উঠছে তা নিয়ে প্রশ্ন। দোকানের মালিক বলেন, “বুঝতে পারছি না কী নিয়ে সমস্যা। ওই এলাকাতে আগেও গুলি চলেছে। তোলা চেয়েছিল কয়েকজন। তা পায়নি বলে হয়তো গুলি। পুলিশকে সবটা জানিয়েছি। পুলিশ সবটা খতিয়ে দেখুক।” তিনি জানান, কিছুদিন আগে এক জন তাঁর মোবাইলে ফোন করেন। হিন্দিভাষী সেই ব্যক্তি রীতিমতো তাঁকে তোলা চেয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনা তারই রেশ কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এলাকার বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলে এখন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দোকানের এক ক্রেতা বলেন, “এরকম ঘটনা আগে তো কখনও এলাকায় ঘটেনি। আমরা তো দোকানের ভিতরে বসেছিলাম। অর্ডার দিয়েছিলাম। ওরা খাবার দিচ্ছিল। তার মধ্যেই তো এই ঘটনা।”