উত্তর ২৪ পরগনা: ভরা হাটে বোমাবাজিতে পঞ্চায়েত প্রধানের মৃত্যু আমডাঙায়। অভিযোগ উঠছে, কামদেবপুরহাটের দখল নিয়ে দুই পঞ্চায়েত বোদাই ও আমডাঙার লড়াই দীর্ঘদিনের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম বড় হাট এই কামদেবপুর হাট। যা এই দুই পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী এলাকায়। ছোট-বড় খুচরো, পাইকারি মিলিয়ে হাটে ১ হাজারের বেশি দোকান। দুই পঞ্চায়েতের উপার্জনও অনেকটা নির্ভর করে এই হাটের উপর। যে পঞ্চায়েতের দাপট বেশি, তাদের কাছেই বেশি কর আদায়ের ক্ষমতা থাকে বলেও অভিযোগ। আমডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। বোদাই পঞ্চায়েত এলাকার নেতা তোয়েব আলি মণ্ডল। এমনও অভিযোগ, তোয়েব আলি ও রূপচাঁদের লড়াই ছিল।
রূপচাঁদ খুনে যে আনোয়ার হোসেন মণ্ডলকে আমডাঙার খুড়িগাছি এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তিনি তোয়েব আলির ছেলে। অর্থাৎ নিহত এবং অভিযুক্ত, দুই পক্ষই তৃণমূলের। তবে কি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে প্রাণ গেল রূপচাঁদের?
এই গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাইছেন না তৃণমূলের বিধায়ক থেকে শীর্ষ নেতারা। শুক্রবার রূপচাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তোয়েব আলিকে নিয়ে প্রশ্ন করায় অর্জুন বলেন, “আমাদের দলের সমর্থক বহু আছে। সমর্থক হলেই কর্মী হবে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। যদি পুলিশ মনে করে তোয়েব আলি অপরাধী, ধরবে।”
অন্যদিকে রাজ্যের সেচমন্ত্রী নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের বক্তব্য, “পুলিশ তদন্ত করছে। যারা প্রকৃত অপরাধী, কেউ ছাড় পাবে না।” তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ও বলেন, “যখন অন্য কেউ মারা যায়, তখন তা তৃণমূল মেরেছে। তৃণমূলের কেউ যখন মারা যায়, তখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলে।”