সন্দেশখালি: তৃণমূল বিধায়কের ওপর হামলা চালাচ্ছে দলেরই নেতা-কর্মীরা! গোষ্ঠীকোন্দলের কথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোনা যায় প্রায়শই। তবে কালীপুজোর রাতে পরপর যে দুটি ঘটনা ঘটেছে, তা দলীয় কোন্দলের চরম নিদর্শন। আর এবার ফের শিরোনামে সন্দেশখালি। কালীপুজোর রাতে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা তৃণমূল নেতা বলেই সূত্রের খবর। অভিযোগ উঠেছে বহিষ্কৃত নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধেও।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজোর উদ্বোধন সেরে যখন বিধায়ক ও তাঁর অনুগামীরা ফিরছিলেন, সেই সময়েই হামলার ঘটনা ঘটে। বিধায়ককে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর ৪ জন অনুগামী। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গিয়েছে।
বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানিয়েছেন, ন্যাজাটে একটি কালীপুজোর উদ্বোধন সেরে ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি সহ একাধিক অনুগামী। কয়েকজন বাইকে চেপে ফিরছিলেন। সেই সময় গাড়িতে হামলা চলে। শেখ আইজুল মোল্লা সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিধায়কের দাবি, ওই দুষ্কৃতীদের কাছে সবসময় আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে হাটগাছি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আব্দুল কাদের মোল্লা বিরুদ্ধে। তাঁর দলবল হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে, আব্দুল কাদের মোল্লার দাবি, অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “বিধায়ক আইসিডিএস-এর হেল্পারের ইন্টারভিউতে প্রোমোশন দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছেন। তারপর কাজ না হওয়ায় অনেকেই বিধায়কের অফিসে যান, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। এই সব ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আমি যতদূর জেনেছি, কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। উনি গাড়ির কাচ নামাননি। তখন হামলা চালানো হয়।”
বিরোধীদের দাবি, এগুলো আসলে ভাগ-বাটোয়ারার লড়াই। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এগুলো হল পিঠে ভাগের লড়াই। কালীপুজোর চাঁদার ভাগ বাটোয়ারা নিয়েও লড়াই হয়ে থাকতে পারে। এই সব ক্ষেত্রে কে বিধায়ক, কে সাংসদ, তা মানেন না তৃণমূলের কর্মীরা।”