উত্তর ২৪ পরগনা: সন্ধ্যার কেটে গিয়েছে। রাত ওই এলাকা মোটামুটি ফাঁকা থাকে। শীতের রাতে আরও বেশি। সে সময়ই স্থানীয় বাসিন্দাদের কানে এসেছিল একটা গোঙানির শব্দ। প্রথমটায় আমল না দিলেও, সেই গোঙানির শব্দ আরও জোরাল হয় সময়ের সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দারা যতক্ষণে যুবককে দেখতে পান, ততক্ষণে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। যুবকের শরীরে তৈরি হয়েছে বড় বড় ক্ষত। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, যুবকের শরীরের অন্ততপক্ষে ১৫ জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাকে ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার রহড়ার ইশ্বরীপুর এলাকায়। আহত যুবক বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, আহত যুবকের নাম আসাদুল ইসলাম। তিনি ইশ্বরীপুরের বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় রবিবার রাতে রাস্তায় ধারে পড়ে থাকতে দেখা যায়। জানা যাচ্ছে, ওই যুবক এলাকার বাসিন্দা। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে যখন উদ্ধার করা হয়, তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত ছিল। সেখান থেকে টাটকা রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁকে উদ্ধার করে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। আপাতত এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রহড়া থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ মনে করছে, এই পিছনে ত্রিকোণ প্রেম ঘটিত কোনও ব্যাপার রয়েছে। রাতেই এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ কুতুবুদ্দিনকে এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে রহড়া থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ধারাল অস্ত্রও। এই অস্ত্র দিয়েই আসাদুলকে কোপানো হয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ধৃত।