বনগাঁ: প্রকাশ্যে বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দল। গেরুয়া শিবিরের উদ্বাস্তু সেলের মিছিলে পাঁচ বিধায়ক হাঁটলেও দেখা মিলল না বনগাঁ জেলা বিজেপি-র সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যা নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের তত্ত্ব তুলল বিরোধীরা। বিজেপি জেলা সভাপতি ঘরের কোন্দল অস্বীকার করলেও তাঁরই দলের নেতা অপর নেতাকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে বেফাঁস মন্তব্য করায় বিষয়টির জিগির আরও বাড়িয়ে দিল।
বৃহস্পতিবার বনগাঁতে বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের পক্ষ থেকে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলের ফ্লেক্সে পাঁচ বিধায়কের ছবি থাকলেও ছিল না বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। বৃহস্পতিবারের মিছিলের সামনে হাঁটতে দেখা যায় অসীম সরকার, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া, স্বপন মজুমদার ও অম্বিকা রায়। এছাড়াও মিছিলে হাঁটেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব ও রামপদ দাস। সেখানে আয়োজিত সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার আবার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসেন। বলেন, “বিজেপি-র মধ্যে কুলাঙ্গার থাকলে তাঁকে শাসন করা বিজেপিরই কাজ। আপনারা এবার বুঝে নিন।” তবে তিনি কার উদ্দেশ্যে এ হেন মন্তব্য করলেন তা পরিস্কার হয়নি। জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন তাহলে কি শান্তনু ঠাকুর ও দেবদাস মণ্ডল না আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাকি বিজেপি নেতৃত্ব?
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও দেবদাস মণ্ডলের সক্ষতা রয়েছে। এর আগেও বিজেপি নেতাদের ডাকা মিছিলে তাঁদের যোগদান ততধিক দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণে দলের অন্দরে রাগ জমছে কি না তা সময়ই বলবে। যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ” বিজেপিতে কোনও গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নেই। আমার অন্য কর্মসূচি থাকায় মিছিলে যেতে পারিনি। সাংসদও অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তৃণমূল অনেক কিছুই বলে। ওদের কথা কেউ শোনে না।” বিষয়টিকে আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বিজেপি দলটা গোষ্ঠী দ্বন্দে জর্জরিত। আগামী ছয় মাসের আগেই এই দলটা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে।”