বসিরহাট: কাশ্মীর (Kashmir) সীমান্তে কিছুদিন আগেই আতঙ্ক ছড়িয়েছিল পাক ড্রোন। একবার নয়, একাধিকবার হানা দেয় পাকিস্তানের (Pakistan) ড্রোন। ভারতের ওপর নজরদারি চালাতেই যে এ ভাবে ড্রোন পাঠাচ্ছিল পাকিস্তান, তেমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের। তবে, এবার নতুন আতঙ্ক বাংলার সীমান্তে। ভারতীয় আকাশ সীমা পেরিয়ে আকাশে দাপিয়ে বেড়াল বাংলাদেশি যুদ্ধ হেলিকপ্টার (Militaru Helicopter)। ভরদুপুরে এমন দৃশ্য দেখে তাজ্জব এলাকার বাসিন্দারা। ব্যারাকপুরেই রয়েচে বায়ুসেনার ঘাঁটি। তার কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেও উড়ল এই কপ্টারগুলি।
বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানা এলাকায় চোখে পড়েছে এই দৃশ্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই যুদ্ধ কপ্টারের গায়ে ছিল বাংলাদেশের পতাকার ছবি। চার থেকে পাঁচ মিনিট চক্কর কাটতে দেখা যায় ওই হেলিকপ্টার দুটিকে। বাদুড়িয়ার পশ্চিম জয়নগর গ্রামের ওপর দিয়ে চক্কর খেয়ে আবারও বাংলাদেশের দিকে চলে যায় কপ্টার দুটি। কিন্তু ঠিক কী কারণে বাংলাদেশের কপ্টার ভারতের আকাশে এ ভাবে চক্কর কাটল, তা স্পষ্ট নয়। এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি এলাকাবাসীরা। তাই তাঁরা কিছুটা আতঙ্কিত। ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না, কেন এমনটা হল।
জানা গিয়েছে, এ দিন বাংলাদেশের যে দুটি হেলিকপ্টার প্রবেশ করেছিল সেগুলি ছিল ‘বেল ২১২’ মডেলের। উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরেই রয়েছে বায়ুসেনার ঘাঁটি। আর সেখান থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি কপ্টার ঢোকায়, উঠছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার দুপুর ঠিক ২.৪৫ মিনিট নাগাদ বাদুড়িয়ার আকাশে দেখা যায় ওই দুটি বাংলাদেশি হেলিকপ্টার। প্রাথমিক অনুমান, স্বরূপনগরের কৈজুরী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় আকাশ সীমানায় ঢুকে পড়ে ওই কপ্টার গুলি। এই নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্তবর্তি এলাকায়। পুরো বিষয়টি ১৫৩ ও ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।
২৭ জুন জম্মু বিমানঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই বারবার উপত্যকায় ড্রোনের দৌরাত্ব দেখা গিয়েছে। পরপর চারদিন দেখা মিলেছিল ড্রোনের। অন্যদিকে, ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের চত্বরেও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে দেখা যায়, যা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় নয়া দিল্লি। কিছুদিন শান্ত থাকার পরই আবারও কাশ্মীরের আকাশে দেখা যায় ড্রোন। ২৭ জুন প্রথমবার দেশে ড্রোন হামলা চলে। রাতের অন্ধকারে ৬ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয়েছিল জম্মুর বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে। পরে এই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় এনআইএ। বিস্ফোরণের পরের দিনই অর্থাৎ ২৮ জুনের মধ্যরাতে ফের দুটি ভিন্ন ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায় রত্নুচক-কালুচক মিলিটারি এলাকায়। নিরাপত্তাবাহিনীদের নজরে পড়তেই ড্রোনগুলি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়, তবে দুটি ড্রোনই পালিয়ে যায়। এরপর ২৯ জুনও জম্মুর মিলিটারি ক্যাম্পের কাছে দুটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। তবে বাংলার আকাশে এমন ছবি কেন দেখা গেল তা নিয়ে কোনও পক্ষের তরফেই কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Assam: ‘অনুপ্রবেশকারী’ উচ্ছেদে রণক্ষেত্র অসম, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু ১ আন্দোলনকারীর!