উত্তর ২৪ পরগনা: আচমকাই একটা আর্তচিৎকার। আর তারপরই ঝুপ করে কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ। বিপদ বুঝেই বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন আবাসনের বাসিন্দা। তাঁরা যতক্ষণে শব্দের উৎস খুঁজে পান, ততক্ষণে মহিলার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে অনেকটাই। তাঁর শরীরে কোনও সার নেই। কিন্তু তখনও পর্যন্ত ওই মহিলাকে চিহ্নিত করতে পারেননি কেউই। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই মহিলার নাম নন্দিতা মণ্ডল। তিনি সোদপুর ঘোলার বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুরের হাসান টাওয়ার এলাকায় একটি আবাসনে মধ্যরাতে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটে। আবাসনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আচমকাই রাতে একটা আর্তচিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। তাঁরা প্রথমটায় বিশেষ আমল দেননি। কিন্তু পরে গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়েই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আবাসনের নীচেই দোকানের সামনে উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন এক মহিলা। চারদিকে চাপ চাপ রক্ত। মহিলার মাথায় গভীর ক্ষত। দেখেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে হচ্ছিল, চার তলা ভবনের ওপর থেকেই ওই মহিলা পড়ে গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে দত্তপুকুর থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উত্তর ২৪ পরগনা ঘোলার বাসিন্দা। তাহলে ওই মহিলা দত্তপুকুরের ওই আবাসনে কেন এসেছিলেন, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। কার ঘরে তিনি এসেছিলেন, তাঁর সঙ্গে আদৌ ওই মহিলার কীরকম সম্পর্ক, এর পিছনে বিবাহ বহির্ভূত কিংবা প্রেম ঘটিত কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে থানায় ডাকা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, কেন তিনি দত্তপুকুরে এসেছিলেন।
আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের ডেকে স্থানীয় বাসিন্দারাই বললেন, দেখুন তো আপনাদের কেউ পড়ে গিয়েছে কিনা, আমরা তখন ভিতরেই ছিলাম। আমরা দেখি, আবাসনের তো কেউ নয়। গিয়ে দেখি একজন মেয়ে পড়ে রয়েছে। মুখে রক্ত ছিল।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।