Basirhat Arms Recover: অস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতী, মিনাখাঁয় ডাকাতির ছক বানচাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 29, 2022 | 1:48 PM

Arms Recover: পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গভীর রাতে মিনাখাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সিদ্ধার্থ মন্ডলের নেতৃত্বে হানা দেয় এবং তিন জনকে গ্রেফতার করে।

Basirhat Arms Recover: অস্ত্র-সহ গ্রেফতার দুষ্কৃতী, মিনাখাঁয় ডাকাতির ছক বানচাল
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার । প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: মিনাখাঁয় গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী। বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবিতলা এলাকার ঘটনা। ১৭ জনের সশস্ত্র দল ডাকাতির উদ্দেশ্যেই জড়ো হয়েছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত।  তাদের মধ্যে ৩ জনকে ধরা গেলেও পলাতক ১৪ জন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সশস্ত্র ওই দল দেবিতলা বাজার এলাকার দিকে যাচ্ছিল।  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গভীর রাতে মিনাখাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সিদ্ধার্থ মন্ডলের নেতৃত্বে হানা দেয় পুলিশ। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

বাকি ১৪ জন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলি ভর্তি বন্দুক, ভোজালি ও লোহার রড-সহ একাধিক অস্ত্র। ধৃতদের নাম আব্দুল আজিজ মোল্লা, ইনজামুল হক মোল্লা ও আলমগির মোল্লা। প্রথম দু’জনের বাড়ি মিনাখাঁ থানার চৈতল ও বালিগড়ি গ্রামে। আর একজনের বাড়ি হাসনাবাদ থানার মুরারিশাহ্ চৌমাথা এলাকায়। ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এই দলের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার জন‍্য ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবারই ৪ মহিলা সহ ১৪ জনকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে আরামবাগ মহকুমা পুলিশ। তাদের কাছ প্রচুর সোনা, রূপা, আগ্নেয়াস্ত্র, মোবাইল ফোন, ডাকাতি করার বেশ কিছু উন্নত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সুপার আমনদীপ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জানান।

দলের কাছে নগদ এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা, চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৬ রাউন্ড গুলি ৬০০ গ্রাম সোনা, ১ কেজি ৫০০ গ্রামের মত রূপার গহনা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ডাকাতি করার জন্য যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগে সেই যাবতীয় সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।

পুলিশ সুপার জানান, ধৃতরা প্রত্যেক বছরই শীতের মরসুমে আসে। ডিসেম্বরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায় গ্যাঙের সদস্যরা। বিশেষত মফঃস্বল এলাকাগুলিতেই তারা বেশিরভাগ অপারেশন চালায়। ধৃতরা প্রত্যেকেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিগত কয়েক দিনের মধ্যে  আরামবাগ, খানাকুল ও গোঘাট এলাকায় একাধিক বাড়িতে লুঠ চালিয়েছিল তারা। লুঠ হওয়া সমস্ত জিনিস, গয়না, টাকা পয়সা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কীভাবে গ্রেফতার?

বেশ কিছুদিন ধরেই আরামবাগ, খানাকুল ও গোঘাট এলাকায় একাধিক লুঠ, ডাকাতির অভিযোগ আসছিল। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। কিন্তু প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত ছিল, যে দলটি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, তারা কেউই এলাকার নয়। এরপর আঁটঘাট নেমে ময়দানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও গ্রামীণ পুলিশকে কাজে লাগানো হয়। পাড়ার ওলিগলি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। জানা যায়, খানাকুল এলাকাতেই একটি দল বেশ কয়েক মাস ধরে ভাড়া রয়েছে। তারা মূলত উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দিনে বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করার নামে এলাকায় রেইকি চালাত তারা। আর রাতে হত অপারেশন। এই গ্যাঙটিও কীভাবে অপারেশন চালাত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুন: ‘দিলীপ ঘোষকে দেখলে লোক এমনিই ভিড় করে, আমি পিছানোর মানুষ নই’, পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা

Next Article