Basirhat:চিতায় দেহ পুড়তেই উড়তে থাকে বান্ডিল বান্ডিল নোট! চমকে ওঠার মতো ঘটনা

Saumav Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 01, 2023 | 4:30 PM

Basirhat: কোনও মনে আগুন নিভিয়ে সেই বালিশ উদ্ধার করা হয়। ঝেড়েপুছে বালি চাপা নিয়ে আধ পোড়া নোটও উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় বালিশের মধ্যে নিমাই সর্দারের একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগে ছিল পাঁচশো টাকার নোটে ১৬ হাজার টাকা

Basirhat:চিতায় দেহ পুড়তেই উড়তে থাকে বান্ডিল বান্ডিল নোট! চমকে ওঠার মতো ঘটনা
আধ পোড়া পাঁচশো টাকার নোট!
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বসিরহাট:  নোট বন্দির সময়ে কে কোথায় কবে টাকা লুকিয়েছিলেন, তার হদিশ মিলেছিল। অনেক সময়ে সে হদিশ অনেকের মেলেওনি। পরে কখনও আলমারির কোনও লকারে, কিংবা শাড়ির ভাঁজে সেই পুরনো টাকার হদিশ মিলেছে। ঠিক তেমনটাই হয়েছিল বসিরহাটের ঘোজাডাঙার সীমান্ত এলাকার ভ্যানচালক নিমাই সর্দারের ক্ষেত্রে। তাঁর জমানো পাঁচশোর নোটে ১৬ হাজার টাকার হদিশ পেলেন ভাইপো। তবে কাকার মৃত্যুর পর। তাও আবার মৃত্যুর পর বালিশ, বিছানা-সহ দেহ চিতায় তুলে দেওয়ার পর। আধ পোড়া ৫০০ টাকার বান্ডিল। আর তা নিয়েই বিপাকে পড়েন ভাইপো।

কাকা নিমাই সর্দার,বাড়ি বসিরহাট সিমান্ত ঘোজাডাঙা বর্ডার এলাকায়। নিমাইয়ের তিন মেয়ে। কোনও ছেলে নেই। তাই তাঁর মৃত্যুর পর মুখাগ্নি করার মতো কেউ নেই। ভাইপোই সব কাজ করছেন। ভাইপো পঞ্চানন সর্দার জানান, গত রবিবার কাকার মৃত্যু হয়।  মৃত্যুর পর  সৎকার করতে স্থানীয় শ্মশানে নিয়ে যান।  চিতায় তুলতে পঞ্চাননের মনে পড়ে কাকার বালিশ, বিছানা আগুনে দিতে হবে। সেইমত বালিশ আগুনে দিয়েও দেন। বালিশের খোল পুড়তেই বেরিয়ে পড়ে বান্ডিল বান্ডিল পাঁচশো টাকার নোট। এদিকে কাকার চিতা দাউ দাউ করে জ্বলছে।

কোনও মনে আগুন নিভিয়ে সেই বালিশ উদ্ধার করা হয়। ঝেড়েপুছে বালি চাপা নিয়ে আধ পোড়া নোটও উদ্ধার করা হয়। দেখা যায় বালিশের মধ্যে নিমাই সর্দারের একটি ব্যাগ ছিল। সেই ব্যাগে ছিল পাঁচশো টাকার নোটে ১৬ হাজার টাকা। সেই টাকা কাকার জমানো।

ভ্যান চালিয়েই ১৬ হাজার টাকা জমিয়ে ফেলেছিলেন নিমাই। কিন্তু তা গচ্ছিত রেখেছিলেন বালিশে।  কিন্তু সেই কথা কেউ জানতেন না। কাকা চলে যাওয়ার পর এই গোপন টাকার হদিশ পাওয়া যায়। সেই আধপোড়া টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে ঘুরলেও টাকা পরিবর্তন করা যায়নি।

কাকার নোট বদল করলেন ভাইপো

তারপর খোঁজ মেলে, হাবড়ায় পঞ্চাননের দিদির বাড়ির সামনে একজন থাকে যে এই টাকা পরিবর্তনের ব্যবসা করেন। সেইমত পঞ্চানন চলে যান হাবড়ায়। তারপর জামাইবাবুকে নিয়ে হন্যে হয়ে ঘুরে খোকন ঘোষের খোঁজ পান। তিনিই টাকা পরিবর্তন করেন। হাবড়া হাটথুবা এলাকায় খোঁজ মেলে খোকনের। খোকন সেই ১৬ হাজার টাকা পরিবর্তন করে ৭ হাজার ১৫০ টাকা দিতে পারবেন বলে জানান। কারণ এই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে মূল্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ ৩৫০ টাকা লাভ খোকনের। সেই টাকা নিয়েও খুশি ভাইপো পঞ্চানন। কাকার জমানো টাকা এখন কাকার কাজেই লাগবে বলে জানান পঞ্চানন।

Next Article