বসিরহাট: সোমবার রাতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বসিরহাট এলাকায়। সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পরপর কয়েক রাউন্ড চলে গুলি। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলি লাগে খোদ পুলিশ কর্মীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাতভর উত্তেজনা জারি থাকে বসিরহাট থানার শাঁকচুড়া বাজারের কাছে। জানা গিয়েছে, ধেয়ে আসা গুলি থেকে এক তৃণমূল ছাত্র নেতাকে বাঁচাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বসিরহাট থানার অনন্তপুর ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার।
তাঁকে গতকাল আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই পুলিশ কনস্টেবল। জানা গিয়েছে সিরাজুল বেশে নামক এক ব্যবসায়ী সোমবার রাতে শাঁকচূড়া বাজার এলাকায় তার কার্যালয়ে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। সেই ঝামেলা মেটাতে যায় বাজারে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বুলবুল। তখনই এক দুষ্কৃতী বুলবুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেই ধেয়ে আসা গুলি দেখতে পেয়ে কনস্টেবল প্রভাত সর্দার আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে নিচে বসিয়ে দেন। তখনই সেই গুলি এসে লাগে তাঁর বাঁ কাঁধে। তারপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপরেই শুরু হয় বচসা। অন্যান্য পুলিশ গিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে ঠিক কী কারণে বুলবুলের উপরে গুলি চালানো পরিকল্পনা করা হয়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুরনো কোনও বচসা নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? তা খতিয়ে দেখছে বসিরহাট থানা পুলিশ।