উত্তর ২৪ পরগনা: প্রথম স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও বছর খানেক আগে আরেকজনকে বিয়ে করেছিলেন। দুই স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। এরপর স্বামীর ঘরের পাশেই অন্য একটি ঘর ভাড়া করে সন্তানকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। আর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করতে থাকেন স্বামী। কিন্তু সেই স্ত্রীই ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত স্বামীর মুখে কোপালেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাগুণ্ডি গ্রামে। মৃতের নাম বাপি শীল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩৫-এর বাপি বছর দশেক আগে প্রথম বিয়ে করেন অঞ্জলি শীল নামক এক মহিলার সঙ্গে। তাঁদের সন্তানও আছে। তা সত্ত্বেও ১ বছর আগে এলাকারই সোমা শীল নামক আরেক মহিলাকে বিয়ে করেন বাপি। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়। গন্ডগোল এমনকি মারধরও হয়। বাড়ি ছেড়ে প্রথম স্ত্রী অঞ্জলি চলে গিয়ে পাশে একটি বাড়িতে থাকত। তিনি লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন।
অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে বাপি শীল বাড়িতে যখন ঘুমাচ্ছিলেন, সেই সময় দ্বিতীয় স্ত্রী সোমা ঘর থেকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর চোখেমুখে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন। তারপর এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় বাপি শীলকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় স্ত্রী সোমাকে আটক করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। কেন বাপিকে সোমা পরিকল্পিতভাবে খুন করল? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রথম স্ত্রী অঞ্জলি। মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে। সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের কোন গল্প আছে কিনা অথবা এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী সোমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রথম স্ত্রী অঞ্জলি।