Basirhat Murder: প্রেমিককে ফোন করে বাড়িতে ডাকলেন বধূ, ঘরে ঢুকতেই পিছন থেকে হাতুড়িটা এসে পড়ল মাথায়… ভয়ঙ্কর ঘটনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 30, 2022 | 1:10 PM

Basirhat Murder: বধূকে তাঁর সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। ২৭ মে শুক্রবার স্বামী গৌতমকে নিয়ে বাপের বাড়ি হাড়োয়ার গোপালপুরে দাসপাড়ায় চলে যান চম্পা।

Basirhat Murder: প্রেমিককে ফোন করে বাড়িতে ডাকলেন বধূ, ঘরে ঢুকতেই পিছন থেকে হাতুড়িটা এসে পড়ল মাথায়... ভয়ঙ্কর ঘটনা
বসিরহাটে যুবকের রহস্যমৃত্যু

Follow Us

উত্তর ২৪ পরগনা: কয়েক বছর ধরে ফোনে আলাপ। ফোনেই প্রেম। তারপর ঘনিষ্ঠতা। দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মেলামেশা। কিন্তু স্বামী জানতে পেরে গিয়েছিলেন। এদিকে স্বামীর সংসারও ছাড়তে নারাজ ছিলেন বধূ। শেষে স্বামীর সঙ্গে মিলেই প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনা। বাড়িতে ডেকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করে খুন। কিন্তু পর্দাফাঁস হয় তারপরই। কালো প্লাস্টিকে ভরে পাশে আমবাগানে ফেলতে গিয়েই পড়শিদের নজরে পড়ে যায়। তাঁরা এসে প্লাস্টিক খুলতেই পর্দাফাঁস। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার গোপালপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর দাসপাড়ার ঘটনা। স্বামী, বাবা ও দিদির সঙ্গে মিলে প্রেমিককে খুন করার অভিযোগ উঠল এক মহিলার বিরুদ্ধে। মৃত যুবকের নাম স্বরূপ প্রামাণিক (২৭)। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়া‌য়।

জানা যাচ্ছে, স্বরূপ কর্মসূত্রে আসানসোলে থাকতেন। তাঁর সঙ্গে গৃহবধূ চম্পা রুইদাসের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। তারপর মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি আসানসোলে। চম্পার স্বামী গৌতম রুইদাস পেশায় অটোচালক। স্বরূপের সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারলে বচসা, গণ্ডগোল ও ঝামেলা হয়। তাই ওই গৃহবধূ ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিতে চান। যুবক তাতে রাজি হন না।

বধূকে তাঁর সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। ২৭ মে শুক্রবার স্বামী গৌতমকে নিয়ে বাপের বাড়ি হাড়োয়ার গোপালপুরে দাসপাড়ায় চলে যান চম্পা। আর সেখানেই প্রেমিক স্বরূপ প্রামাণিককে খুনের পরিকল্পনা করেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। রবিবার সকালে যুবককে ফোনে বাড়িতে আসার কথা বলেন ওই গৃহবধূ। তাঁকে খুনের পরিকল্পনার ছক করেন বধূ চম্পা, স্বামী গৌতম, বধূর বাবা খোকন সাহা ও দিদি চৈতালি সাহা।

রবিবার গভীর রাতে হাড়োয়ায় ওই বধূর বাড়িতে স্বরূপ পৌঁছাতেই তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ওই চার জন মিলে শ্বাসরোধ করে ওই যুবককে খুন করেন। তারপর প্লাস্টিকের বস্তা চাপা দিয়ে আমবাগানে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেন।

রাতে সে সব দেখতে পেয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেন থানায়। হাড়োয়া থানার পুলিশ গিয়ে যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। যুবককে খুনের ঘটনায় বধূ চম্পা, স্বামী গৌতম, বাবা খোকন সাহা ও দিদি চৈতালিকে গ্রেফতার করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

তদন্তে খুনের কথা স্বীকার করেছেন সকলেই। সোমবার ধৃত চারজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনে ব্যবহৃত রক্তমাখা হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Next Article