বসিরহাট: বাবার সঙ্গে গল্প করতে প্রায়শই বাড়িতে আসত ‘কাকা’। সেই ‘কাকার’ অভিপ্রায় নিয়ে মেয়েটির বাড়ির কারোর কোনও সন্দেহ হয়নি। বাড়িতে সেদিন বছর চোদ্দোর মেয়েটির বাবা-মা ছিলেন না। ফাঁকা বাড়িতে মেয়েটি যে একা থাকতে, তা জানতেন সেই ‘কাকু’। ‘একা কী করছে…’ সেই খোঁজ নেওয়ার নাম ঘরে মেয়েটির ঘরে ঢোকেন অভিযুক্ত। ফাঁকা ঘরে ঢুকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম রহিম মোল্লা। ধৃতের অবশ্য এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানা এলাকার ঘটনা। ক্লাস সেভেনের বছর চোদ্দোর নাবালিকা শনিবার একাই বাড়িতে ছিল। অভিযুক্ত খোঁজখবর করার নাম করে জোর করে ঘরে ঢোকে সে। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তার ছাত্রীর চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর বাবা-মা বাড়িতে এলে গোটা বিষয়টি মেয়ে ও প্রতিবেশীদের মারফত জানতে পারেন তাঁরা। এরপর বসিরহাট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবার ভোররাতে গ্রাম থেকেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, ওই প্রতিবেশী গল্প করার অছিলায় প্রায়শই বাড়িতে আসত। তারপরেই এই অঘটন। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। রবিবার যুবককে পক্সো আইনে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তারপর বসিরহাট মহকুমা আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেবে ওই নির্যাতিতা নাবালিকা ছাত্রী।