বসিরহাট: সন্দেশখালি তৃণমূল নেতা খুনে বিস্ফোরক দাবি করলেন তাঁর স্ত্রী। সন্দেশখালিতে গুলিতে নিহত তৃণমূল বুথ সভাপতি প্রদীপ নায়েকের স্ত্রীর বিস্ফোরক দাবি, ‘তৃণমূল করার জন্যই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।’ বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার দুর্গামণ্ডপ গ্রাম পঞ্চায়েতের দাউদপুর গ্রামে বছর পঁয়তাল্লিশের প্রদীপ নায়েক খুন হন রবিবার। তিনি দাউদপুর অঞ্চলের তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও এনআরইজিএস-এর সুপারভাইজার ছিলেন। বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘুমন্ত অবস্থায় জানলা দিয়ে তাঁর মাথায় ও গালের চোয়ালে গুলি করে বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দাউদপুর গ্রামে।
১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার হচ্ছিল প্রদীপের। এলাকার বাসিন্দাদেরও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেখতেন তিনি। এক সক্রিয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করেন। তারপর বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা মানুষের দরবারে পৌঁছে দিতেন বলেও প্রতিবেশীরা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন।
এই তৃণমূল নেতার মৃত্যুতে সন্দেশখালি এলাকা জুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্ত্রী মধুমিতা নায়েক। তিনি বলেন, “আমার স্বামীকে তৃণমূল করার অপরাধে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।”
সন্দেশখালিতে রবিবার রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক তৃণমূলনেতার। ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। জানালা খোলা ছিল। জানালা দিয়েই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একাধিক গুলি চলেছিল বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হওয়ার আগেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালায়।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মণ অধিকারী বলেন, “আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মী। আমরা ওঁর পরিবারের পাশে রয়েছি। আসামী ধরা পড়ুক। আমরা এই অরাজকতা মেনে নেব না।”
অন্যদিকে বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, “সন্দেশখালি ঘটনা প্রমাণ করে দিল, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। যদি শাসকদলের নেতাকেই এইভাবে বাড়িতে খুন হতে হয়, তাহলে ভেবে দেখার আছে বিরোধী দলের নেতা কর্মী, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা আমাদের রাজ্যে।”