উত্তর ২৪ পরগনা: ‘ম্যান মেড’ বন্যার তত্ত্ব আগেই শোনা গিয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রীর গলায়। ঝাড়খণ্ডের তরফে লাগাতার জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসি-কে তোপ দেগেছেন তিনি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন আসানসোল ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত সিল করার নির্দেশ দেয়।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রায় ১৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বাংলার সীমানা সিল করে দেওয়ার ফলে জেলার ৮ টি থানা এলাকার সীমানায় লরির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। রাত থেকেই ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানা দিয়ে ঢুকতে না পারায় রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে কয়েকশো লরি। তারপরই গতকাল সন্ধ্যায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশ অতি তৎপরতার সঙ্গে, ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢোকা অর্থাৎ পুরুলিয়া জেলার উপর দিয়ে সীমানা সিল করে দেওয়া হয়। যেহেতু এই জেলায় ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা ৩৮০ কিলোমিটার সীমানা রয়েছে। সেই কারণে হওয়ায় জেলার একাধিক রাস্তায় লরি আটকে পড়ে। সমস্যায় পড়েছে লড়ির চালকরা। খোলা আকাশের নিচেই দিন কাটাচ্ছে বাড়ছে ক্ষোভ।
বলরামপুর সীমানা তৌফিক আনসারি বলেন, “কাল রাত থেকেই সিল করে দিয়েছে। কোনও গাড়ি ছাড়ছে না। আমাদের উপরের অর্ডার আছে আমরা ছাড়ব না। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। খাওয়া-দাওয়া করতে পারছি না।”