বসিরহাট: ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। তার ঠিক লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত ঘর। কেউ সেখানে যায় না বলেই খবর। কিন্তু সেই ঘরেই যে এত! যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় খোদ বিএসএফ-এর।
ফের পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ। পরিত্যক্ত ঘর থেকে সাত কেজি রুপোর গহনা উদ্ধার করল তারা। যদিও, অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার ভারত-বাংলাদেশ হাকিমপুর সীমান্তের ঘটনা। এলাকার পরিত্যক্ত ঘর থেকে প্রচুর রুপোর গহনা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা বাংলাদেশে পাচার করতে না পেরে ওই পরিত্যক্ত ঘরে রেখে পালিয়ে যায় বলে খবর। উদ্ধার হওয়া গহনাগুলির বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। সেগুলি তেঁতুলিয়া শুল্ক দফতরের হাতে তুলে খাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রবিবার ভোররাতে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষীদের কাছে খবর পৌঁছায়। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত লাগোয়া পরিত্যক্ত ওই ঘরে কে বা কারা ঢুকেছে। তারপর সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে দেখে প্যাকেট করা প্রায় ৭ কেজি রুপোর গহনা ফেলে পালিয়ে যায় তারা। প্রাথমিক অনুমান বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশে এগুলিকে জড়ো করা হয়েছিল।
বস্তুত, ৭২ ঘণ্টা আগে বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ সফরে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একদিকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ও অন্যদিকে চোরাচালানের বাড়তে থাকা নিয়ে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।অন্যদিকে, রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছিলেন, সীমান্তে বিএসএফ-এর দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁরা ঠিকমতো নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। সেই সুযোগেই পাচার ও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। তার দায় বিএসএফের।
সব মিলিয়ে নতুন করে সীমান্তে রুপোর গহনা উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে দামি অষ্টধাতুর মূর্তি উদ্ধার হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত এলাকার একটি গ্রাম থেকে। বিএসএফ এটি উদ্ধার করে। সঙ্গে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের পরিকল্পনা ছিল মূর্তিটি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পাচারের আগেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভারতীয় গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় সেটি। ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। তাদের কাছে খবর এসেছিল, গ্রামের একটি বাড়িতে সন্দেহজনক মূর্তি রয়েছে। এরপরই তারা তল্লাশি চালায়।