TMC Clash: ‘উন্নয়নের এত টাকা গেল কোথায় ?’ প্রশ্ন করেই তৃণমূল প্রধানকে বেধড়ক মার দলেরই সদস্যদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 08, 2022 | 12:33 PM

Basirhat: জানা গিয়েছে, বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটি উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কনক লতা মণ্ডল। তাঁকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।

TMC Clash: উন্নয়নের এত টাকা গেল কোথায় ? প্রশ্ন করেই তৃণমূল প্রধানকে বেধড়ক মার দলেরই সদস্যদের
আহত পঞ্চায়েত প্রধান (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বসিরহাট: জেলায়-জেলায় অব্যাহত শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। কোথাও বিক্ষোভ, কোথাও বিদ্রোহ। আকছাড় এই সকল খবর প্রকাশ্যে আসছেই। এরই মধ্যে আবার বসিরহাট। খোদ তৃণমূল প্রধানকে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।

কিন্তু কেন এমন ঘটনা?

জানা গিয়েছে, বসিরহাটের বাদুড়িয়া ব্লকের যদুরহাটি উত্তর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কনক লতা মণ্ডল। তাঁকেই মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সালে পঞ্চায়েতে উন্নয়নের টাকা দেওয়া থাকলেও সেই উন্নয়ন করা হয়নি। উন্নয়নের সেই টাকাটা জমা রয়েছে। এই নিয়েই মূলত ঝামেলা পঞ্চায়েত প্রধান কনক লতার গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী পঞ্চায়েত সদস্য মোশারফ হোসেনের।

শনিবার প্রথমে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। তারপর একে অপরকে মারধর করতে শুরু করে। এরপর প্রধান কনক লতা মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলের বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে আহত কনক লতা বাদুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। দু’পক্ষই বাদুড়িয়া থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ। যদিও, ঘটনার বিষয়ে এখনও কারোর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বস্তুত, গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন কাউন্সিলরকে। ধৃত প্রাক্তন কাউন্সিলর হলেন রূপালি সরকার। তিনি এলাকায় মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

২০২০ সালে বেলঘরিয়া উত্তর বাসুদেবপুর এলাকায় মে মাস নাগাদ তৃণমূল কর্মী সৌমেন দাসকে খুন করা হয়। তারপর থেকে শুরু হয় তদন্ত। গোটা ঘটনায় শুক্রবার কামারহাটি পৌরসভা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালি সরকার ব্যারাকপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। সেই মতো রূপালিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।

Next Article