বারাসত : পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে দলে যোগ দেওয়া নতুন বিজেপি কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ৫ সদস্য। বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কার্যকরী সভাপতি তাপস মিত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। আজ অশোকনগর এলাকায় বিজেপির এক কার্যালয় থেকে জেলার বিভিন্ন পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ওই পাঁচ নেতা।
যে পাঁচ নেতা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের নাম চন্দন দাস, গৌরাঙ্গ নন্দী, কৃষ্ণা রায়, গৌরাঙ্গ দাস এবং প্রবীর দাস। আজ সাংবাদিক বৈঠকে ওই পাঁচ নেতা অভিযোগ করেন, বারাসত সাংগঠনিক জেলার বর্তমান কার্যকরী সভাপতি দলের নতুন কর্মীদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। নতুনদের মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতি ও বিভিন্ন পদে বসাচ্ছেন। পুরনো যে বিজেপি কর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের সঠিক সম্মান দেওয়া হচ্ছে না ।
এর আগে বারাসত সাংগঠনিক জেলা কমিটির ১৫ জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন। আজ আরও পাঁচজন ইস্তফা দিলেন। ৬৯ জনের কমিটি থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ জন ইস্তফা দিলেন। ইস্তফা দেওয়া নেতাদের বক্তব্য, নতুনদের অগ্রাধিকার দিয়ে পদে বসানোর কারণেই পৌরভোটে এত খারাপ ফলাফল হয়েছে বিজেপির। সেই কারণে রাজ্য কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই একের পর এক নেতা পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলেছেন। তবে পদ ছাড়লেও বিজেপি ছাড়ছেন না বলে আজ ওই পাঁচ নেতা জানিয়ে দেন।
একের পর এক নেতা পদ ছাড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বারাসত জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “এখনও ইস্তফাপত্র পাইনি। আমাকে কিংবা রাজ্য সভাপতিকে ইস্তফাপত্র দিতে হবে। যাঁরা এসব করছেন, তাঁরা দলবিরোধী কাজকর্ম করছেন বলে মনে করি।” এরপরই তিনি বলেন, “ওই পাঁচজনের মধ্যে ২ জন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁরা ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছেন। তাঁরা বলছেন, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয়েছিল।” আগের ১৫ জনের মধ্যে কয়েকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে তিনি জানান। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “অনেকে পদ চেয়েছিলেন। যাঁরা পদ পাননি, তাঁরা এসব চক্রান্ত করছেন। কিন্তু, তাঁদের ছাড়াই দল মজবুত হবে।”