Barasat: বারাসতে ইলিশ উৎসবে চরম ‘বিশৃঙ্খলা’, ট্যাঁকের কড়ি দিয়ে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাপিত্যেশ… তারপরও কোথায় খাবার?

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 13, 2022 | 10:06 PM

Hilsa Festival: ইলিশ উৎসবেই চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল। ইলিশ উৎসবে গিয়ে রসনাতৃপ্তি তো দূরে থাক, অনেকেই নাকি ঠিক ঠাক খাবারই পেলেন না।

Barasat: বারাসতে ইলিশ উৎসবে চরম বিশৃঙ্খলা, ট্যাঁকের কড়ি দিয়ে ঢুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাপিত্যেশ... তারপরও কোথায় খাবার?
ইলিশ উৎসবে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ

Follow Us

বারাসত: ইলিশ উৎসব (Hilsa Festival) ঘিরে এ কি কাণ্ড? চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির অভিযোগ। ট্যাঁকের কড়ি খসিয়ে ভিতরে ঢুকলেও অনেকেই ঠিকমতো খাবার পাননি বলে অভিযোগ। রবিবার এমনই এক ঘটনা ঘটল বারাসতে (Barasat)। এদিন বারাসত অ্যাসোসিয়েশন ময়দান এক ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। উদ্যোক্তা বারাসত পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা সুমিত কুমার সাহা। সহযোগিতায় পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। কিন্তু সেই ইলিশ উৎসবেই চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ উঠল। ইলিশ উৎসবে গিয়ে রসনাতৃপ্তি তো দূরে থাক, অনেকেই নাকি ঠিক ঠাক খাবারই পেলেন না।

বারাসতে এই ইলিশ উৎসবের জন্য ৫০০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য ধার্য্য় করা হয়েছিল। ইলিশপ্রিয় বাঙালির ঢল নেমেছিল উৎসবে। ৫০০ টাকা করে টিকিট কেটে মানুষ ইলিশ উৎসবে প্রবেশ করলেও ভিতরে চরম বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। অনেকেই বলছে, ঠিকমতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ, ইলিশের বিভিন্ন আইটেম যেভাবে পরিবেশন করার কথা, আদতে সেইভাবে তা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। কেউ কেউ আবার অভিযোগ করছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে থাকলেও পাতে খাবার আসছিল না। অতঃপর, চেটেপুটে রসনাতৃপ্তি তো হলই না, উল্টে খালি প্লেট নিয়েই বসে থেকে শেষে উঠে চলে যেতে হয় অনেককে। এমনই অভিযোগ উঠছে।

বারাসতে ইলিশ উৎসবে গিজগিজ করছে ভিড়

প্রসঙ্গত, রবিবাসরীয় সকালে বারাসতে এই ইলিশ উৎসবের জন্য আয়োজনের কোনও খামতি ছিল না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিল্পীদের সমাগম… সবই ছিল। কিন্তু তারপরও শেষ পর্যন্ত এমন হয়রানির অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন অনেকে। দুপুরের খাবার অনেকে সন্ধে গড়িয়ে গেলেও পাননি বলে অভিযোগ। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির বিষয়ে পুরপিতা সুমিত সাহা জানিয়েছেন, “মানুষ খেতে পায়নি এই কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শেষ ব্যাচে খাবার পেতে একটু দেরি হচ্ছে। আমরা যে আয়োজন করেছিলাম মানুষ সানন্দে তা গ্রহণ করছে। দুপুরের খাওয়া একসঙ্গে ৪৬০ জনের বসার ব্যবস্থা। যেহেতু এটি ইলিশ মাছ, প্রতিটি পাতের ক্ষেত্রে দেরি হয়। সেই কারণে মানুষ অধৈর্য্য হয়েই এই কথা বলছেন।” সবাই চেটেপুটেই খেয়েছেন বলে দাবি কাউন্সিলরের। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাপনাও যে পর্যাপ্ত রয়েছে, সেই কথাও দাবি করেন তিনি।

Next Article