উত্তর ২৪ পরগনা: রহড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। শনিবার খরদহের রহড়া মধ্যপল্লির বাসিন্দা শেখ সাহিলের মৃত্যু হয় বোমা বিস্ফোরণে। রবিবার দুপুরে ভবানী ভবন থেকে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড আসে ঘটনাস্থলে। পাশাপাশি দমকল বিভাগ, অ্যাম্বুলেন্সও ছিল ঘটনাস্থলে। এই তদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন রহড়া থানার আইসি দেবাশিস সরকার এবং এসিপি ঘোলা তনয় চট্টোপাধ্যায়। তবে সূত্রের খবর, বম্ব স্কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনও কিছুই পায়নি।
শনিবার সকালে রহড়া থানার পিছনের মাঠ আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে একটি কৌটো দেখতে পান ওই এলাকার এক বাসিন্দা মহম্মদ হামিদ। বালতি করে বাড়িতে তিনি কৌটোটি নিয়ে আসেন। সেই সময় বাড়িতেই ছিল বছর সতেরোর শেখ সাহিল। দাদুকে বালতি নিয়ে আসতে দেখে তার ভিতরে থাকা কৌটোটি খেলার ছলে ছুড়ে মারে লাইট পোস্টে। তখনই বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের আঘাতে গুরুতর জখম হয় ওই নাবালক। তাকে প্রথমে ব্যারাকপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে বিএন বোস মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর তাকে সাগর দত্ত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সংবাদমাধ্যমে আমরা দেখি রোজ কোথাও-না-কোথাও গুলি চলছে বা বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে। পুলিশ কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে? অপরাধীরা এখন পার্টির নেতা হয়ে গিয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই। তাদের গায়ে হাত দেওয়া তো দূর, পুলিশ একটা এফআইআর নিতে পারে না।”