ভাটপাড়া : ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে যাঁরা ঘর ছাড়া, যে সব পরিবার নিজেদের স্বজনদের হারিয়েছেন এবং যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদেরকে পুনরায় ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। সেই সঙ্গে যাতে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়টির দিকেও নজর দেন তাঁরা। শনিবার জগদ্দল এবং ভাটপাড়া থানা এলাকায় যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। মূলত থানাতেই ঘরছাড়াদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন কমিশনের আধিকারিকরা। তারপর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে জগদ্দল এবং ভাটপাড়ার ঘরছাড়া মানুষদের বাড়িতে বাড়িতেও যান কমিশনের অফিসাররা। তাঁদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেন।
ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি সরজমিনে খতিয়ে দেখছেন মানবাধিকার কমিশনের অফিসাররা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি ঘটনার তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মানবাধিকার কমিশনের অফিসারদের। উল্লেখ্য, শনিবার দিনভর ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির খোঁজখবর নেন তাঁরা। ভাটপাড়া ও জগদ্দল এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি শনিবার বারাসতের কদম্বগাছি এলাকাতেও ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব শুরুর থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে। কিছুদিন আগে বিজেপির প্রতিনিধি দল ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিল। সেখানে দেখা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এরপর রাজ্যে ফিরে রাজভবনেও গিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসার ক্ষতিগ্রস্তরা।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে একাধিকবার পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, শাসক দলের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।