একুশের সভায় কে লাগাবে জায়ান্ট স্ক্রিন? দুই গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে প্রাণ গেল বৃদ্ধার

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 21, 2021 | 7:30 PM

ভার্চুয়াল সভায় মমতার বক্তব্য চলাকালীন হাতাহাতি শুরু হয় দুই পক্ষের। পরে বোমাবাজি শুরু হয় বসিরহাটের হাড়োয়ায়। 

একুশের সভায় কে লাগাবে জায়ান্ট স্ক্রিন? দুই গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে প্রাণ গেল বৃদ্ধার
হাসপাতালে নিয়ে গেলে বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা কর হয়।

Follow Us

বসিরহাট: ২১ জুলাইয়ের সভার মাঝেই বোমাবাজি। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মৃত্যু বৃদ্ধার। নিহত আরও একজন। বসিরহাটের হাড়োয়া থানা এলাকার  মোহনপুর গ্রামের ঘটনা। গোলাগুলিতে মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মী বালা নামে এক বৃদ্ধার। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, এ দিন দুই মমতার ভার্চুয়াল সভা চলাকালীন ঘটনার সূত্রপাত।

এ দিন কোভিডের কারণে ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করে তৃণমূল। জায়ান্ট স্ক্রিনে বিভিন্ন জায়গায় শোনানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ। বসিরহাটে এরকমই এক ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জায়ান্ট স্ক্রিন কে লাগাবে, সেই ইস্যুতেই বচসা বাঁধে তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর। তার জেরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সেই সংঘর্ষই বড় আকার নেয়। ভাঙচুর চালানো হয় ঘটনাস্থলে, চলে গোলাগুলি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বছর ৬০-এর লক্ষ্মী বালার। ১৮ বছর বয়সি এক যুবক সঞ্জীব জানারও মৃত্যু হয়েছে এ দিন, তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযোগ, তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়।

এই ঘটনায় তৃণমূলের আরও ৪ কর্মী আহত হযন। তাঁদের হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে র‍্যাফ। এলাকায় পুলিশ টহলদারি চলছে। এই ঘটনার পিছনে কি শুধুই একুশের সভা নাকি কোনও পুরনো রাজনৈতিক বিবাদ? তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন এ দিন ভার্চুয়াল সভা শেষে যখন সবাই বাড়ি ফিরছিলেন, তখন আচমকা গুলি চলে, আর তাতেই মৃত্যু হয় দু’জনের। এলাকায় এক দিকে তৃণমূল নেতা যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিক ও অন্যদিকে মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাপুটে নেতা তপন রায়ের দন্দ্ব রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল নেতারাও মতের অমিলের কথা স্বীকার করেছেন। এলাকার বিজেপি নেতা তারক ঘোষ বলেন, ‘আরও একবার বোঝা গেল যে বাংলায় আইন শৃঙ্খলা নেই, তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’

আরও পড়ুন: ‘পুরোটা রেকর্ড করে নিল!’ পিকে-অভিষেকের সঙ্গে হওয়া গোপন বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা

Next Article