Councillor Murder: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে একটা কথা বলতে চাই, আর কাউকেই বলব না’, পানিহাটির নিহত কাউন্সিলর স্ত্রীর কাছে কোন গোপন তথ্য?
Councillor Murder: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা গোপন কথা বলতে চান তিনি। সেই কথা তিনি আর কারোকেই বলবেন না বলে জানিয়েছেন। অনুপম দত্তের স্ত্রী বলেন, 'ও অনেক প্রতিবাদী ছিল ও। তাই ওকে এভাবে চলে যেতে হল। আমিও ওর লড়াইটা লড়ব।'
উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটির কাউন্সিলর খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শুটার শম্ভুনাথ পণ্ডিত। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। খুনের সুপারি দিয়ে খুন করা হয়েছে অনুপম দত্তকে। মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয় সুজিত পণ্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিত। তবে এখনও অনুুপম মণ্ডলের স্ত্রী এখনও আস্থা রাখতে পারছেন না পুলিশের ওপর। এই ঘটনায় সিবিআই কিংবা সিআইডি তদন্ত চেয়েছেন অনুপম দত্তের স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে একটা গোপন কথা বলতে চান তিনি। সেই কথা তিনি আর কারোকেই বলবেন না বলে জানিয়েছেন। অনুপম দত্তের স্ত্রী বলেন, ‘ও অনেক প্রতিবাদী ছিল ও। তাই ওকে এভাবে চলে যেতে হল। আমিও ওর লড়াইটা লড়ব।’
মীনাক্ষী বলেন, “আমি একবার মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। ওঁ যেন সেই অনুমতিটা দেন। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটা কথা বলতে চাই। আমি ওঁকে একটাই কথা বলতে চাই। আর সেটা ওঁকেই বলতে চাই। আর কাউকে নয়। ওঁ আমাদের মা। মায়ের কাছে সন্তানের একটা কথা বলার আছে। ” তবে সাংবাদিকদের কাছে অনুুুপম দত্তের স্ত্রী জানিয়েছে, তিনি রাজনীতিতে আসতে চান। স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজগুলিকে তিনি করতে চান।
অনুপম দত্ত খুনে প্রথমেই গ্রেফতার করা হয়েছে শম্ভুনাথ পণ্ডিত নামে এক শুটারকে। তাকে জেরা করে আরও দুজন দুষ্কৃতীর খোঁজ পায় পুলিশ। সোমবার রাতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও খড়দহ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার হওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। বর্ধমানের কালনা এলাকার সিমলান ও আগ্রাহাটি গ্রাম থেকে শম্ভুনাথেরই মাসির ছেলে বাপি পন্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করে খড়দা থানা পুলিশ। তাদের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুরের অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। তবে খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি প্রোমোটিং বিবাদ? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে হোগলা বন থেকে আততায়ীকে ধরা হয়, সেখানে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন। তবে তার মধ্যে সিমকার্ড মেলেনি। ফোনটি আততায়ীর বলেই মনে করা হচ্ছে। মিলেছে ট্রেনের টিকিটও। মেমারি থেকে শেওড়াফুলির রিটার্ন টিকিটটি গতকাল রবিবার ২টো ৫০ মিনিটে কাটা হয়। ভাড়াটে খুনি ট্রেনে করে আসে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হোগলা বনের দখল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছিল। সেখানে প্রোমোটিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অনুপম দত্ত। সেই কারণেই কি অনুপম দত্তকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন? আপাতত সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Higher Secondary Examination 2022: কবে কোন পরীক্ষা? আবারও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় খবর