উত্তর ২৪ পরগনা: বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। কারণ খতিয়ে দেখতে মানুষের ‘দুয়ারে’ পৌঁছতে তৎপর বাম নেতৃত্ব। সম্প্রতি নিজেদের ভরাডুবি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বামফ্রন্টের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর মতে, নির্বাচন আবহে ‘বিজেমূল’ স্লোগান ভাল চোখে দেখেনি আমজনতা। পাশাপাশি, বিজেমূল বলে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করলেও আদপে তা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে বলেই দাবি করেন সূর্যকান্ত। যদিও, এ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বললেন সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ এদিন বলেন, “দলের তরফে একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তবে, আমি তো প্রকাশ্যে তার বিরোধিতা করতে পারি না। আমার ব্যক্তিগত মতামত হিসেবে ‘বিজেমূল’ স্লোগানে কোনও ভুল নেই। আমি এতে ভুল দেখি না। মমতার সরকার তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত বামেদের বিরুদ্ধে যত লড়াই করেছে তৃণমূল, সবেতেই বিজেপির সংযোগ ছিল। ওরা আলাদা কোথায় হল! তাছাড়া, এখন বিধানসভায় পিএসসি-র চেয়ারম্যান মুকুল, যিনি বিজেপির টিকিটে বিধায়ক, কিন্তু তৃণমূলের সদস্য। এর থেকে বড় উদাহরণ আর কী আছে!”
এখানেই থামেননি বর্ষীয়ান বাম নেতা (Sushanta Ghosh)। তিনি আরও বলেন, “দলের তরফে এ নিয়ে চর্চা চলছে। এই ধরনের স্লোগান ঠিক না ভুল তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে নিশ্চই তা জানানো হবে। তবে, আমাদের পরাজয়ের কারণ হয়ত, মানুষের কাছে বিকল্প বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছয়নি। মানুষ তাই বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু, তৃণমূল বা বিজেপি কেউই বিকল্প নয়। তবে, বিরুদ্ধ মত বা ভিন্ন মত থাকতেই পারে। তবে সেটা পার্টির মধ্যেই আলোচ্য। সেটা দলের নিচু থেকে উঁচুতলা পর্যন্ত আলোচিত হবে। কারণ, দলই শেষ কথা বলবে।” যদিও, সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিম এ প্রসঙ্গে বিতর্ক এড়িয়ে জানিয়েছেন, ‘বিজেমূল’ নিয়ে আলাদা করে দলে আলোচনা চলছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে জানানো হবে। আরও পড়ুন: ‘তেলে সেস কমাক রাজ্য’, পদ্মের সুরে ‘সুর’ সূর্যকান্তের?