Barasat: এ যেন মিরাকল! ৮০০ গ্রামের সন্তানকে নিয়ে ৭০ দিনের লড়াই, ‘মা’ ডাক শুনতে পাবেন, আশাই করেননি রুবিনা
Barasat: সাধারণত বি সি রায় হাসপাতালে এমন শিশুর যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় বি সি রায় হাসপাতালে বেড না থাকায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজই উদ্যোগ নেয় শিশুকে সুস্থ করে তোলার।
বারাসত: ‘মা’ ডাক আর শুনতে পাবেন না হয়ত। এমনটাই ভেবেছিলেন রুবিনা। অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলেন রুবিনা। বড় সাফল্য পেল বারাসত মেডিক্যাল কলেজ। শিশু দিবসের দিন এক সদ্যোজাতকে সুস্থ করে মায়ের হাতে তুলে দিল হাসপাতাল। মাত্র ২৭ সপ্তাহে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন রুবিনা খাতুন। সন্তানের ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম মাত্র। এত কম ওজন হওয়ায় সন্তানক আদৌ বাঁচানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েই সন্দিহান ছিল শিশুর পরিবার। সেই সন্তান সুস্থ হয়ে কোলে ফেরায় খুশি মা।
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার সোনাডাঙার বাসিন্দা রুবিনা খাতুন। তিনি জানান, তাঁর এক সন্তানের এর আগে মৃত্যু হয়। আর এক সন্তান গর্ভেই শেষ হয়ে যায়। আর এবারও ঘটে যায় বিপদ। এমনই অবস্থা হয় যে সাত মাসেই প্রসব হয়। রুবিনা ও তাঁর পরিবার এবারও আশা ছেড়েই দিয়েছিল। ৮০০ গ্রামের সন্তানকে কীভাবে সুস্থ করা হবে! ভেবে পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকেরা।
সাধারণত বি সি রায় হাসপাতালে এমন শিশুর যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় বি সি রায় হাসপাতালে বেড না থাকায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজই উদ্যোগ নেয় শিশুকে সুস্থ করে তোলার। এরপর দীর্ঘ ৭০ দিন ধরে চলে লড়াই। সবরকম চেষ্টা করেন চিকিৎসক থেকে নার্স সবাই। ৭০ দিন ধরে সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন মা রুবিনা।
সদ্যোজাতর শরীরে জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট সহ নানা রকম সমস্যা হয়। সেই সমস্যাগুলো সারানো হয়। অবশেষে ৭০ দিন পর এল সাফল্য। শিশু দিবসে রুবিনার কোলে ফিরল সুস্থ সন্তান। মায়ের মুখের হাসিটাই সাফল্য, বলছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তোলা রীতিমতো পুনর্জন্ম দেওয়ার মতো। পরিবারের অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল। তাঁর উদ্যোগেই এই চিকিৎসা চলে গত ৭০ দিন ধরে। শিশুকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পেরে খুশি পরিবার।