Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কেউ চাইলেই দলে ফেরানো হবে এমন নয়; নিশ্চিন্তে থাকুন, তৃণমূল কর্মীদের আশ্বাস কুণালের

ভোটের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে কে কি করেছিলেন সেটা দিদি জানেন। ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, দাবি কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)।

কেউ চাইলেই দলে ফেরানো হবে এমন নয়; নিশ্চিন্তে থাকুন, তৃণমূল কর্মীদের আশ্বাস কুণালের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 15, 2021 | 3:12 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন নিবেদন থেকে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এর ধূম লেগে গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় তৃণমূল নেতারা দলবদলুদের স্বাগত জানাতে নারাজ। এরকমই একজন গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ধ্যানেশনারায়ণ গুহ। ভোটের আগে দল ছেড়েছিলেন। এখন ফিরতে চাইছেন। কিন্তু আদৌ তাঁকে দলে ফেরানো হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আবেদন করলেই দল ফেরাবে, তেমনটা নয়। অর্থাৎ দু’ একটি ব্যতীক্রমী সিদ্ধান্ত ছাড়া বাকিদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ যে ঝুলেই থাকবে তা এক প্রকার স্পষ্ট।

মুকুল রায়ের হাত ধরে ধ্যানেশনারায়ণ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুকুলই এখন ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। এখন মুকুল রায় তৃণমূল নেতা। তাঁর হাত ধরে যাঁরা দল বদলে ছিলেন এবার তাঁরাও গুটি গুটি পায়ে ঘরে ফিরতে চাইছেন। যেমন গাইঘাটার এই নেতাও।

গত রবিবারই ধ্যানেশনারায়ণ দাবি করেন, তিনি মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন। এই নিয়ে জেলাজুড়ে হইচই শুরু হয়। তৃণমূলের লোকজন কোনও ভাবেই তাঁকে দলে ফেরাতে রাজি নন। এ ব্যাপারে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস জানান, ধ্যানেশনারায়ণ ভোটের মুখে দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাঁকে কোনও ভাবেই তৃণমূলে ফেরানো হবে না। এই ধরনে প্রত্যাবর্তন দলের জন্য ক্ষতিকর বলেই দাবি গোবিন্দ দাসের।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই গাইঘাটা ব্লকের শিমুলপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান কণা গুহের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য। দলের প্রতি বিশ্বস্ততা হারিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান বলেই দাবি তাঁদের। কণাদেবীর স্বামী ধ্যানেশনারায়ণ নির্বাচন আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কণাদেবীকে আর তৃণমূলের কোনও কাজে দেখা যায়নি। এমনকী, নির্বাচনের সময়েও দলের কাজে তাঁকে পাশে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিজেপি নেতা ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, সকাল থেকে বাড়ির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দলের কর্মীদের

এ ব্যাপারে কণা গুহ বলেন, তিনি তৃণমূলেই ছিলেন এবং তৃণমূলেই আছেন। ভোটের আগে তাঁর স্বামী বিজেপিতে যোগদান করলেও, আবারও তৃণমূলে ফিরবেন। এ ব্যাপারে শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, এটা তৃণমূলের দলীয় ব্যাপার। এ নিয়ে বিজেপির কোনও বক্তব্য নেই।

তবে মঙ্গলবারই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “তৃণমূল কর্মীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে, ভোটের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে কে কি করেছিলেন সেটা দিদি জানেন। চিঠি দিচ্ছেন, দেখা করছেন, বৈঠক করছেন তার মানেই এটা নয় যে তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। দু’ একটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বৃহত্তর ক্ষেত্রের কথা ভেবে। সেটাও সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ই।”