Duttapukur Blast: সাসপেন্ড নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি, সরানো হল দত্তপুকুরের আইসিকেও
Duttapukur Blast: ভয়াবহ বিস্ফোরণে রবিবার কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডে নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হল। নীলগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির নতুন ওসি হলেন সঞ্জয় বিশ্বাস। অন্যদিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে দত্তপুকুর থানার আইসি শুভব্রত ঘোষকেও। সুজিত পতিকে আইসি দত্তপুকুর করে নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের মোচপোল গ্রাম। একটি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই ৭ জনের মৃত্যুর খবর আসে। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের মদতে এবং পুলিশের হাত মাথার উপর নিয়েই বেআইনি বাজি ব্যবসার রমরমা এলাকায়।
সোমবার ঘটনাস্থলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাস্থল ঘুরে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, কংক্রিটের বাড়ির ছাদ উড়িয়ে দিয়েছে এই বিস্ফোরণ। এখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “পশ্চিমবঙ্গে আরডিএক্স বা অন্যান্য ধরনের কেমিক্যাল, যা বড় বিস্ফোরক তৈরিতে কাজে লাগে, তা পাওয়া গেলেও অবাক হব না।”
বাজি বিপর্যয়ের ঘটনাস্থলে সোমবারই ফরেন্সিক টিম পৌঁছয়, যান এডিজি সাউথ। যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএর সদস্যদের একটি দলও। গ্রামেরই বাসিন্দা কেরামত শেখের বাড়িতে রবিবার বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ উঠছে, বিস্ফোরণের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার কেরামতের কারখানায় বিপুল বাজির মশলা পৌঁছয়। জঙ্গলের আড়ালে এই কারখানা। অভিযোগ, বাড়ির ভিতর বাজি তৈরির মশলা রাখা থাকত। অভিযোগ নামে বাজি, আসলে সেগুলি বোমার মশলা। বাড়ির ঘরে, ছাদে মশলা বোঝাই থাকত।
শুধু কেরামতের বাড়িই নয়, মোচপোলের একাধিক গোডাউনে বাজি ও বাজির মশলা মজুত করা রয়েছে। গোডাউনের গায়ে ঘেঁষা বাড়ির লোকেরা বলছেন, তাঁরা জানেন গোডাউনে বিস্ফোরকই আছে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ বলেছে আলু-পেঁয়াজ রাখা আছে। আদৌ কি এ কথা সত্যি? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা অভিযোগ রয়েছে। এরইমধ্যে স্থানীয় থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে দাবি আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়ের।