বারাসত: দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা তল্লাশির পর মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে সন্ধ্যার সময় বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। বারাসতে কামাখ্যা আশ্রম এলাকায় তাপস মণ্ডলের বাড়ি থেকে প্রচুর নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে বেরনোর সময় জানিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। আগামী ২০ অক্টোবর তাপস মণ্ডলকে ইডি অফিসে ডেকেও পাঠানো হয়েছে। ইডি-র এই সমনের কথা জানিয়েছেন তাপস মণ্ডলের ছেলে ব্রিজেস মণ্ডল।
ইডি চলে যাওয়ার পর টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি ঢুকেছিলেন তাপস মণ্ডলের বাড়িতে। তখন তাপসের ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়ার সিজার লিস্ট-এর কপি দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য এবং কতগুলো রেজিস্টার খাতা যে গুলোতে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের নামের তালিকা রয়েছে। এর পাশাপাশি মিনার্ভা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ট্রাস্টের কাগজ ও সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ইডি আধিকারিকরা নিয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাপসের ছেলে ব্রজেশ জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তাপস মণ্ডল হরিদ্দারে রয়েছেন। তাপসের সঙ্গে ইডি আধিকারিকরা ফোনে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাপস মণ্ডল নির্দোষ এমন দাবিও করছেন তাঁর ছেলে। ২০১২ সালে কামাখ্যা বালক আশ্রম d.el.ed কলেজের সঙ্গে যুক্ত হন তাপস। সেখান থেকে বেরিয়ে যান বছর তিনেক আগে। মিনারভা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির আন্ডারে অনেকগুলো d.el.ed কলেজ তাপস মণ্ডল চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রচুর মানুষের থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া এবং না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইডি আধিকারিকদের কাছে। ইডি আধিকারিকরা প্রকাশ্য কিছু না বললেও প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন। সে সমস্ত নথিতে প্রার্থীরা চাকরিপ্রার্থীরা টাকা দিয়েছেন তাঁদের তালিকা থাকতে পারে। তাঁদের ছবি, অ্য়াডমিট কার্ডের তথ্যও উদ্ধার ইডি আধিকারিকরা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।