বসিরহাট: দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাতেও বেড়ে নারী নির্যাতনের (Violence against women) পরিমাণ। সঙ্গে বেড়েছে পাচারের মাত্রাও। এরইমধ্যে সুন্দরবন (Sundarban) থেকে অপহৃত নাবালিকাকে কর্ণাটক থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। সূত্রের খবর, সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ থেকে খোঁজ মিলছিল না বসিরহাটের (Basirhat) ন্যাজাট থানা এলাকার ১৪ বছরের এক নাবালিকার। পরিবারের অভিযোগ, কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে সন্দেশখালি থানা এলাকার বছর ২৪ এর এক যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানায় অপহরণেরও অভিযোগ করে নাবালিকার পরিবার। তারপর থেকেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ (Police)। খোঁজখবর শুরু হয় গোটা এলাকায়। পরিচিতদের সঙ্গেও কথা বলে পুলিশ।
শেষে ওই নাবালিকার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে সে বর্তমানে কর্নাটকের থিরুভল্লা জেলার হেব্বাগুড়ি থানা এলাকায় রয়েছে। এরপরই ন্যাজাট থানার পুলিশের একটি দল চলতি মাসের ১০ তারিখ রওনা হয় হেব্বাগুড়ির উদ্দেশে। সেখান থেকেই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় অভিযুক্ত যুবকে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত যুবক কী শেষ ওই নাবালিকাকে ভিন রাজ্যে পাচারের ছক কষেছিল? উঠেছে এই প্রশ্নও। উত্তর খুঁজতে অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যদিও শেষ পর্যন্ত ঘরের মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি নাবালিকার পরিবারের সদস্যরাও। পুলিশের উদ্যোগকে সাধুবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে নাবালিকার কাকা বলেন, “আমাদের মেয়েকে ভুলভাল বুঝিয়ে বাইরে নিয়ে চলে গিয়েছিল ওই ছেলে। কাজের কথাও বলেছিল। তারপর আমরা পুলিশকে জানাই। পুলিশই শেষে মেয়েকে উদ্ধার করে। আমরাও গিয়েছিলাম পুলিশের সঙ্গে। তবে পুলিশ দেখতেই ছেলেটা পালানো চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশ ধরে ফেলে।”