বিধাননগর: পুলিশের কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিতে এসে গ্রেফতার ভুয়ো পরীক্ষার্থী। একজন নয়, প্রায় সাতজনকে আটক করল বিধাননগর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার অর্থাৎ আজ পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষা ছিল। সেই মতোই পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয় বিধাননগর লবণ হ্রদ বিদ্যাপীঠ ও বিডি স্কুলে। যথারীতি, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে অ্যাডমিট কার্ড যাচাই করার কাজ শুরু করেন পরীক্ষক। সেই সময় সাতজন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতরা যে অ্যাডমিট কার্ডে দেখিয়েছিল তাতে নিজের নাম, বাবার নাম এবং বাড়ির ঠিকানা সঠিক জানাতে পারেনি। সেই কারণে সন্দেহ হয় পুলিশের।
ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। আটকের পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনও সঠিক তথ্য দিতে পারেনি তাঁরা। তারপর তাঁদের আটক করা হয়। জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা রূপেশ কুমার নদিয়ার বাসিন্দা ঝন্টু মুণ্ডার হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। অন্যদিকে, অচিন্ত্য বিশ্বাস নামে এক যুবক মণিরাম সরকারের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তবে নজর এড়ায়নি পরীক্ষকের। যথারীতি ধরা পড়ে তারা।
একইসঙ্গে, বিধাননগর বিডি স্কুল থেকেও ৫ জনকে ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে আটক করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের কোনও চক্র কাজ করছে কি না অথবা এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। বস্তুত, লেকটাউন থানা এলাকা থেকেও সাতজন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
একই ছবি জেলাগুলিতেও। উত্তর ২৪ পরগনায় শনিবার রাতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোদপুর কাঁচকল সংলগ্ন একটি হোটেলে অভিযান চালায়। কাঁচকল এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হোটেল থেকে ৩৭ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থী ও এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করে খড়দহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত এজেন্ট ও ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড জাল করে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এখানে এসেছিলেন। ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের সাথে আরও অন্য কোনও বড় মাথা যুক্ত রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কাছ থেকে সেই নামটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।