বরাহনগর: গতকালের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারীর পাকড়াও ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। প্রায় প্রতিদিনই আগ্নেয়াস্ত্র পাচার বা আগ্নেয়াস্ত্র পাচারকারীর ঘটনা সামনে আসে। রোজ এই ধরনের অপরাধের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই কড়া হাতে সেই সকল অপরাধীদের যেন কোমর ভেঙে দিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
গতকাল আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে যেই অপরাধী ধরা পড়ে তার নাম নাজির হুসেন (২৩)। জানা গিয়েছে, নাজির বেলিয়াস রোড হাওডার বাসিন্দা। বর্তমানে সে থাকত খিদিরপুরে (Khidirpur)। গতকাল সন্ধে নাগাদ বরাহনগর থানা এলাকার আলমবাজার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
জানা গিয়েছে, তার কাছ থেকে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গ (STF)। STF সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তি বিহার থেকে আসছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঘটনায় বরাহনগর থানায় (Baranagar Police Station) একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকালও কলকাতার (Kolkata) কাছেই একাধিক অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। বরানগর (Baranagar) এলাকা থেকে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯টি ওয়ান শটার পিস্তল। সেগুলি বিহার থেকে বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
গত মাসের শুরুর দিকেই আসানসোলের কুলটির দিশেরগড়ে অস্ত্র কারখানার হদিশ পান তদন্তকারীরা। অভিযান চালিয়ে ওই গোপন কারখানা থেকে সাতটি তৈরি ৭.৬২ পিস্তল, ২০টি অসম্পূর্ণ পিস্তল, ১৪টি তৈরি ম্যাগাজিন আর পাঁচটি অসম্পূর্ণ ম্যাগাজিন, ১৩ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে এই কারখানায় অস্ত্র পাচারের কারবার ছড়িয়ে ভিনরাজ্যেও বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাকা চেকিংয়ের সময়ে বরাকর চেকপোস্টে বিপুল অস্ত্র-সহ ধরা পড়েছিলেন আশ মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। ওই ব্যক্তিকে জেরা করে উঠে আসেএকের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশেও ছড়িয়ে রয়েছে এই অস্ত্র কারবারের জাল। নাকা চেকিংয়ে ধৃত আশ মহম্মদের থেকে প্রথমে উদ্ধার হয়েছিল মোট ২৬টি পিস্তল আর ৪৬টি ম্যাগাজিন। তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের দুই ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ।