উত্তর ২৪ পরগনা: ‘ধর্ষণ’ রোখার চেষ্টা করেছিলেন গায়ের জোরে। অভিযোগ, ধর্ষণে বাধা পেয়েই দুষ্কৃতীরা গলার নলি কেটেছিল যুবতীর। পাঁচ দিনের লড়াই শেষে মঙ্গলবার আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সেই নির্যাতিতার। এখন আতঙ্কে তাঁর পরিবার। অভিযোগ, ঘোলার ওই এলাকায় যুবতীর পরিবারে দিবারাত্র যাচ্ছে হুমকি। দুষ্কৃতীদের লোকজন হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ঘোলায় বাঁশ বাগানে টেনে নিয়ে গিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তিন জনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনে মহিলা বাধা দেওয়ায় তার গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবতীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে ওই নির্যাতিতার মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
গত শুক্রবার ঘটনার পরই ঘোলা থানায় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই অভিযুক্ত। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও দু’জন অধরা থাকায় আতঙ্কে ভুগছেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশকে সেই বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। প্রশাসন কাজ করছে। অভিযুক্তরা এখনও ধরা পড়েনি। দুদিন আগেও শুনলাম কারা নাকি এসেছিল। অভিযুক্তদের ধরা পড়া জরুরি।” স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, “ওর ব্যবহার খুব ভাল ছিল। আমরা তো ভাবতেই পারছি না, ওর সঙ্গে এমনটা হয়েছে। কয়েকটা অচেনা ছেলেকে রাত বারোটার পর রাস্তায় দেখতে পাচ্ছি। এলাকায় এমনটা হয়ে গেল, আমরা একটু ভয়ই পাচ্ছি।”