Electricity Declined in Dumdum School : বকেয়া বিল, তাই বিদ্যুৎ নেই স্কুলে, ব্রাত্যর বিধানসভায় আলো-পাখা-জল ছাড়াই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Apr 28, 2022 | 5:54 PM

Dumdum School : শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত একটি সরকারি স্কুলে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। বকেয়া বিল মেটাতে না পারায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।

Electricity Declined in Dumdum School : বকেয়া বিল, তাই বিদ্যুৎ নেই স্কুলে, ব্রাত্যর বিধানসভায় আলো-পাখা-জল ছাড়াই ক্লাস করছে পড়ুয়ারা
নিজস্ব ছবি

Follow Us

দমদম : তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। বাংলার দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমের জেলা জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের কবলে দমদম। এই গরমের মধ্যে গতকালই গরমের ছুটি এগিয়ে এনে ২ মে থেকে করার কথা ঘোষণা করেছেন। এই তাপপ্রবাহের আবহে দমদমে উঠে এল করুণ ছবি। এই প্রখর তাপে আলো-পাখা-জল ছাড়া স্কুলে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছেন পড়ুয়ারা। কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের কোনও স্কুলের ছবি এটা নয়। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সরকারি স্কুল ঘুঘুডাঙা ভারতী বিদ্যামন্দির। সেখানেই এরকম ছবি ধরা পড়ল।

ক্লাসরুমে পাখা রয়েছে। কিন্তু তা চলছে না। গরমে দরদর করে ঘামছে কচিকাঁচারা। হাঁসফাঁস গরমে বেঞ্চে বসে থাকাই কষ্টকর সেখানে পড়াশোনায় মন বসবে কী? শিক্ষিকারা পিচবোর্ড কেটে সকল পড়ুয়ার জন্য হাতপাখা বানিয়ে দিয়েছেন ঠিক‌ই। কিন্তু তাতে কী আর খুদে শরীর স্বস্তি পায়? একে ক্লাসরুমে পাখা নেই। তার উপরে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত এই সরকারি স্কুলে। শিক্ষামন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রে সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর বেহাল দশা কেন? স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ভারতী বিদ্যামন্দির স্কুলে সকালে প্রাথমিক স্কুল বসে। বেলা ১১ টায় শুরু হয় উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু হয়। জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সিইএসসি কর্তৃপক্ষ। সিইএসসি-র বকেয়া টাকার পরিমাণ ১৪ হাজার। বকেয়া টাকা না দেওয়ায় গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এই স্কুলে। এদিকে বিদ্যুতের বিল না মেটানোর দায় একে অপরের দিকে ঠেলেছেন প্রাথমিক ও হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ।

প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তমালিকা বসু জানিয়েছেন যে, প্রাথমিকের ক্লাস চলাকালীন বিদ্যুতের বিল কত হয়েছে তার কোনও হিসেব দেননি। এবং প্রাথমিক স্কুল কেন পুরো বিদ্য়ুতের বিলের পুরো টাকাটা দেবে? সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে প্রাথমিকের তরফে ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই বিদ্যুতের বিলের জন্য। অপরদিকে হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ জানিয়েছেন, স্কুলের পরিকাঠামো ব্যবহার করলে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তো দিতেই হবে। টাকা কে দেবে এই দড়ি টানাটানির মধ্যে অনিশ্চিত পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ শুধু নয়‌। দাবদাহের বাংলায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যেই পড়াশোনা করতে হচ্ছে খুদেদের। এদিকে পুরো ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি দেখবেন ও শীঘ্রই বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনবেন।

আরও পড়ুন : Commit Suicide: শেষ করে দিচ্ছি নিজেকে, বলেই মোবাইল সুইচড অফ প্রেমিকের; কঠিন ‘শাস্তি’ পেল প্রেমিকা

Next Article