বারাসত : নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সামনে এসেছিল বাগদার (Bagda) চন্দন মণ্ডলের (Chandan Mondal) নাম। অনেককে টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার আদালতের নির্দেশে নিয়োগের বেনিয়মের তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ফের একবার শিরোনামে সেই চন্দন। কারণ,নবম-দশম থেকে গ্রুপ ডি, সব তালিকাতেই চন্দনের গ্রামের বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। বাগদার প্রক্তন বিধায়ক দুলাল বরের দাবি, ওই গ্রামের আরও একাধিক নাম সামনে আসবে। এসএসসি (SSC) গ্রুপ ডি-তে যাঁদের বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যাচ্ছে, বাগদার মামা-ভাগ্নে গ্রামের ৪ জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। আর এই মামা-ভাগ্নে গ্রামেরই বাসিন্দা চন্দন। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রাক্তন সিবিআই অফিসার উপেন বিশ্বাসই প্রথম চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে এসেছিলেন।
সম্প্রতি, গ্রুপ ডি-র ১৬৯৪ জন প্রার্থীর তালিকা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মামা-ভাগ্নে গ্রামের যে চার জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে একজন বাগদার কাশীপুর গ্রাম সভা হাইস্কুলে কর্মরত, একজন চরমণ্ডল সিএমপিপিবিকে ফুলমোহন হাইস্কুলে কর্মরত, একজন বনগাঁর মনিগ্রাম হাইস্কুলে কর্মরত ও আর একজন কেউটিয়া পাড়া জেএন রায় হাইস্কুলে কর্মরত। তাঁরা সকলেই চন্দন মণ্ডলের এলাকার বাসিন্দা।
বাগদার প্রক্তন বিধায়ক দুলাল বরের দাবি, শুধু চার জন নয়, তালিকায় বাগদার আরও অনেকের নাম রয়েছে। দিন দিন সংখ্যাটা আরও বাড়বে।
ওই চারজনের বাড়িতে গেলেও তাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি। তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ। কেউ বলছেন, তাঁরা এসব জানেনই না, আবার কেউ বলছেন তাঁদের পরিবারের ছেলে নিজের যোগ্যতাতেই চাকরি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার কাশিপুর গ্রামসভা হাই স্কুলে গেলেও সেই ব্যক্তির দেখা মিলল না, যাঁর নাম ওই চারজনের মধ্যে রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দুপুরের দিকে স্কুল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি তালিকা হাতে পেয়েছেন। শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
উল্লেখ্য, উপেন বিশ্বাস প্রথম এই চন্দন মণ্ডলের নাম সামনে আনার পর চন্দনকে সিবিআই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল। জানা যায়, আগে সিপিএমের সদস্য ছিলেন চন্দন, পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।