অযোধ্যা: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হতে চলেছে রাম মন্দির। মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে দেশ জুড়ে উন্মাদনা চরমে। মন্দির নির্মাণ প্রায় শেষ। আপাতত চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে অযোধ্যায় রামের মূর্তি গেল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থেকে। ফাইবারের দুটি মূর্তি তৈরি করেছেন দত্তপুকুরের শিল্পী মহম্মদ জামালউদ্দিন। প্রথমটায় তিনি জানতেন না, ওই মূর্তি ঠিক কোথায় যাচ্ছে। পরে একটি পত্রিকা থেকে তিনি জানতে পেরেছেন অযোধ্যায় রাম মন্দির চত্বরেই বসানো হবে ওর মধ্যে একটি মূর্তি। এ কথা জানতে পেরে শিল্পী হিসেবে খুশি জামালউদ্দিন।
দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত দীঘার মোড় এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ জামালউদ্দিন। প্রায় ১৫-১৬ ফুট উচ্চতার দুটি মূর্তি তৈরিতে জামালউদ্দিনকে সাহায্য করেছেন তাঁর ছেলে বিট্টু। যখন মূর্তি দুটো তৈরি করতে বলা হয়, তখন তাঁরা শুধু জানতে পেরেছিলেন ওই মূর্তি দুটো অযোধ্যায় যাবে। পরে তিনি জানতে পারেন, একটি মূর্তি রাম মন্দির চত্বরে যাচ্ছে।
গ্লাস ফাইবারের মূর্তি তৈরির জন্য জনপ্রিয় দত্তপুকুর। এলাকা ৫০-৬০ টি ওয়ার্কশপে ফাইবারের কাজ হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে অর্ডার। জামালউদ্দিন জানান, ক্রেতারা দত্তপুকুরে গিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখেন, দরদাম করেন, এরপর অর্ডার দেন। সেভাবেই রামের মূর্তির অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। একটি অর্ডার দেওয়া হয় ১ বছর আগে, আর একটি অর্ডার দেওয়া হয় ৬ থেকে ৮ মাস আগে।
কোনও বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জামালউদ্দিন। আর শিল্পের সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলতেও চান না তিনি। এটাই প্রথম নয়, দুর্গা, জগদ্ধাত্রীর ফাইবারের মূর্তিও এর আগে বানিয়েছেন তিনি। মাটির মূর্তির তুলনায় ফাইবারের এই মূর্তির দাম বেশি, স্থায়ীত্বও বেশি। এক-একটি মূর্তির দাম প্রায় ২.৮ লক্ষ টাকাও হতে পারে। তবে মূর্তির আকার আর সূক্ষ্ম কারুকাজের উপর দাম নির্ভর করে।