দমদম : প্রতারণার অভিযোগ (Fraud Case) নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ। এরপর বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধতন অফিসারের কাছে জানাতে গিয়েছিলেন, সমস্যার সমাধানের জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়েও সেই অর্থে কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ। উল্টে, যিনি অভিযোগকারী, তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ফোন করে প্রতারককে ডেকে আনার জন্য। দমদম (Dumdum) সুকান্ত সরণির বাসিন্দা কিরণ পোদ্দার। হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের ছাত্রী। কিরণের অভিযোগ, রাজ্যের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকুরীর টোপ দিয়ে তাঁর থেকে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৫০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসের চাকরির জন্য একটি অনলাইনে জব সাইটে তিনি নিজের বায়োডাটা পোস্ট করেছিলেন। তারপর একদিন হঠাৎ মেসেজ আসে তাঁর ফোনে। জানানো হয়, বেসরকারি এক ব্যাঙ্কের ব্যাক অফিসে শূন্য পদ রয়েছে। আর তাতেই প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ওই তরুণী। ফর্ম ফিলাপের জন্য প্রথমে ৩০০ টাকা দেয়। তারপর ধাপে ধাপে ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৫০ টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু এরপর চাকরি না পেয়ে সেই টাকা দাবি করেন তরুণী। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কিরণ দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৩ মে। কিন্তু দীর্ঘ একমাস কেটে যাওয়ার পর, এখনও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
তদন্তের গতি প্রকৃতি দেখে থানার অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনওরকম সহযোগিতা পাননি বলে দাবি অভিযোগকারীর। পরবর্তী সময়ে প্রতারকদের গ্রেফতার এবং প্রতারিত হওয়া টাকা ফেরতের আশায় থানা তিনি ঊর্দ্ধতন এসিপি পদমর্যাদার অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু তখন তরুণীকে পরামর্শ দেওয়া হয়, প্রতারকদের ফোন করে ডাকিয়ে আনার জন্য। তবে তরুনী পুলিশি অসহযোগিতার যে অভিযোগ তুলছেন, সেই বিষয়ে দমদম থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বঙ্কিম বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি অবশ্য এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ রূপে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।