AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় জুস বলে মদ খাইয়েছিল শুভেন্দুর বাবা: মদন

Madan Mitra jabs Suvendu Adhikari: "এক বার হয়তো শুভেন্দুর বাবা মদ দিয়েছে। কিন্তু এখন আমি মদ খাব না কেন?"

Madan Mitra: সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় জুস বলে মদ খাইয়েছিল শুভেন্দুর বাবা: মদন
ফের বিস্ফোরক মদন। নিজস্ব চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2021 | 1:13 PM
Share

বসিরহাট: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁকে ‘চিহ্নিত মাতাল’ বলে কটাক্ষের পর আর যেন থামছেন না মদন মিত্র (Madan Mitra)। ফের ধেয়ে এল মদন-বাণ। এবার তাঁর দাবি, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় ‘জুস’ বলে তাঁকে মদ খাইয়েছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। বাদুড়িয়ার সম্প্রীতি মেলায় এসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কামারহরাটির তৃণমূল বিধায়ক।

তাঁকে এস্টাব্লিশড মাতাল বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তার পর থেকে আর থামছেনই না মদন। এর আগে টিভি নাইন বাংলাকে এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, “শুভেন্দু আগে ওর বাবাকে ঠিক করুক”। এমনকী তিনি দাবি করেন জীবনে প্রথম মদের সংস্পর্শে আসেন রাজ্যের বিরোধী নেতার বাবা প্রবীণ রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর জন্যই।

আর এদিন গানের মধ্য দিয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে সিঙ্গুরে আন্দোলনের সময় আমি খেতে চাইনি। ওর বাবা বলল, এটা মদ না জুস। আমি বিশ্বাস করে খেয়েছিলাম।” তাঁর আরও সংযুক্তি, “এক বার হয়তো শুভেন্দুর বাবা মদ দিয়েছে। কিন্তু এখন আমি মদ খাব না কেন?” আবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে মদন বলেন, “আলো মানে ফিলিপ, পাগলা মানে দিলীপ।”

কী নিয়ে এমন মদন-বাণ?

মদন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে চান। সম্প্রতি খড়গপুরের এক সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানান তিনি। জানান, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তাঁর সঙ্গে লড়াইয়ে নামুন শুভেন্দু। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘শুভেন্দু মায়ের লাল হলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমি কাল কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ২৯৪ বিধানসভার যেকোনও আসনে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। শের ভুখা মার জায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।” আর বুধবার তাঁর এই আক্রমণের জবাবে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি প্রায় তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন, “প্রথম কথা একজন চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া মুশকিল।” ফের জোর দিয়ে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “একজন চিহ্নিত মাতাল। এস্টাব্লিশড মাতাল… সারা পশ্চিমবঙ্গের লোক জানে”। এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “দ্বিতীয় কথা মদন মিত্র যে কোম্পানির কর্মচারী, সেই কোম্পানির মালিককে মাত্র আট মাস আগে ১, ৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি আমি। মালিককে যে হারাতে পারে সে কেন কর্মচারীর সঙ্গে লড়বে!” শুভেন্দু আরও যোগ করেন, “মদন মিত্রকে স্মরণ করিয়ে দিই, উনি জেলে ছেলেন। যাঁর বিরুদ্ধে আজ বলছেন… কামারহাটিতে কেউ ওঁর প্রচারে যাচ্ছিল না। আমার কাছে ওঁনার মেয়ে-জামাই এসে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করে ওঁনার প্রচার সভায় নিয়ে গিয়েছিলেন।” আর তার পর যেন আর থামছেনই না মদন।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on COVID19: ‘পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর’